মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে দেড়শ পরিবার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে আবারো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার চাকঢালা সীমান্তে বিকেল থেকে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেলেও রাত পর্যন্ত এর তীব্রতা বাড়ে। মর্টার শেল ও গুলির বিকট শব্দে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার বলেন, শনিবার বিকেল থেকে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে রাতে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ারমাঠ এলাকায় গোলাগুলির তীব্রতা বাড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে ছেড়ারমাঠ এলাকা দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। তাদের দমন করতে জান্তা বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এছাড়া এসব ঘটনায় অনেকে আহত হন।
(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এসএম)