মিয়ানমারে প্রচণ্ড গোলাগুলি
আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়ছেন বান্দরবান সীমান্তের বাসিন্দারা
মিয়ানমারে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অনেক বাসিন্দা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠের কাছে ৪৯ ও ৫০নং সীমান্ত পিলারের ওপারে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত শনিবার দুপুরে বাহিরমাঠের কাছে ৪৯ ও ৫০নং সীমান্ত পিলার বরাবর ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি এবং সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। এ সময় একটি গুলি এসে পড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আবারও আবারও ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা।
তাদের ধারণা, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় রাখাইনদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) অবস্থান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিদের মধ্যে এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘দোছড়ি সীমান্তের বাহিরমাঠ এলাকা বরাবর ওপারে মিয়ানমারে সাড়ে সকাল ১১টার পর থেকে আবারও গুলির শব্দ শোনা গেছে। আমি ইতোমধ্যে সীমান্তের দুই শতাধিক পরিবারকে নিরাপদে সরে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তারা অনেকেই নিকটাত্মীয়ের বাসায় চলে গেছে। আজও অনেক পরিবার সরে যাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
ইতোমধ্যে সীমান্তঘেঁষা ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যার নুরুল আফছার। তিনি বলেন, ‘যেসব পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তারা আমার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলি ও চেরার মাঠ এলাকায় সীমান্তের আধ কিলোমিটার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো না হলে সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা আরও এক থেকে দেড়শ পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এসব পরিবারকে চাকঢালা জুনিয়র হাই স্কুলে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ঠিক করে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। এ কারণে সীমান্ত এলাকার ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসন এ ব্যাপারে নজরদারি করছে।’
(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/আরকেএইচ)