ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মাদারীপুরে ২৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৩৬ | প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৩৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার বেলা ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৩ ঘণ্টা মাদারীপুর জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এদিকে ঝড়ো বাতাসে সোমবার রাত ৮ট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল। শতাধিক গাড়ি সড়কের দুইপাশে আটকে ছিল। পরে হাইওয়ে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে গাছ সরালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার রাত ৭টার পর থেকে মাদারীপুরে বাড়ে বাতাসের বেগ। একই সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়ে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ অনেক স্থানেই তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এদিকে জেলার পদ্মাবেষ্টিত শিবচরের চরাঞ্চলের নদীরপাড় ঘেঁষা বাসিন্দাদের অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়।

মাদারীপুর পৌর শহরের জাকির হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। পুরো দিন ও রাতেও বিদ্যুৎ বিভাগে স্বাভাবিক করতে পারেনি। দীর্ঘ সময় পরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ সচল হয়। এতে সারা রাত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের খাবারও নষ্ট হয়ে গেছে। মাঝারি আকারের ঝড়ে যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বড় ঝড় হলে কী অবস্থা হবে আল্লাহই ভালো জানে।’

সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর এলাকায় সাহেদ হোসেন বলেন, ঝড়ে বড় বড় গাছ পড়ে আমাদের চলাচলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি হয়েছে। র্দীঘ সময় আমাদের এ রাস্তায় বসে থাকতে হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ আসায় কিছুটা সমাধান হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস আরো আগে তৎপর হলে অনেক আগেই রাস্তা ক্লিয়ার হয়ে যেতো।’

এ ব্যাপারে মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। মহাসড়কের একাধিক স্থানে গাছ পড়েছে। দ্রুত গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি। তবে প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাস কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রাত নয়টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার দিনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

এদিকে পদ্মা বেস্টিত কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দীন সোহেল বেপারী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে মিটিং হয়েছে। আমরা চর এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছিলাম। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মনে কওে অনেক বাসিন্দারা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়। চরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়ায় তাদের বড় কোনো সমস্যা হয়নি।’

শিবচর উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত বন্দরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সাদ্দাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের চর এলাকার চারটি সাইক্লোন শেল্টার রেডি করাছিল। আমরা এখানে প্রাথমিকভাবে খাবার পানি ও শুকনা খাবার প্রস্তুত রেখেছিলাম। সাইক্লোন শেল্টারে শতাধিক লোক আসছিল। তবে তাদের কোন সমস্যা হয়নি।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘বড় কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। তবে কৃষকদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছি। আমি কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে। আর কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, আমরা রিপোর্ট করে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। আপাতত বড় কোনো প্রবলেম নেই।’

(ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :