বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন রিজার্ভ ভেঙে খাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৪৫

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, বাড়তি জ্বালানির ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশগুলো খাবারে টান পড়েছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা রির্পোটার ইউনিটিতে ‘ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও এক মিনিটের জন্যও বিদ্যুৎ যায়নি। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর এখন পানি গরমের জন্য বিদ্যুৎ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। দেশটি তার নাগরিকদের গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে বলছে।

টেলিভিশন টকশোতে সরকারের সমালোচনার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন টকশোগুলোতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যার কথা বলা হয়। কিন্তু বিশ্ববাজারের বিদ্যুৎ ও অর্থনীতির সংকটের কথা ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয় না।

ড. হাছান বলেন, আমরা যেসব দেশকে অনুসরণ করছি, সেসব দেশে এখন লোডশেডিং চলছে। আমেরিকায় নাগরিকদের এসএমএসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে। ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগের খবরের কাগজে দেখেছি, যুক্তরাজ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে মানুষ কয়েক বেলা না খেয়ে রয়েছে। বাড়তি জ্বালানির ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশটিতে মানুষের খাবারে টান পড়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছিল ৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। সেখান থেকে বর্তমান সরকার ৪৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।

‘করোনার কারণে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আনা, বিনিয়োগ ও আমদানি বন্ধ ছিল। করোনার পর এগুলো আনা হচ্ছে-আমদানিও বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। সাধারণত তিন মাসের রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট, অথচ আমাদের সেখানে ৫ মাসের আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ অর্থ রয়েছে’—যোগ করেন মন্ত্রী।

সাহিত্য পুরস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই পুরস্কারের মাধ্যমে সাংবাদিকরা উৎসাহিত হবেন। এই পুরস্কার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে শুরু করায় আমিডিআরইউকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমরা একসময় দরিদ্র ছিলাম, এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। তবে মেধা ও মননের দিক দিয়ে আমরা সবসময় সমৃদ্ধ জাতি। ভারতসহ যেখানেই গিয়েছি, সবাই বলে সাহিত্য ও সংগীত চর্চায় আমরা এগিয়ে। আমরা সারা বিশ্বের কাছে এগিয়ে, আমরা সাহিত্যে নিয়ে গর্ব করতে পারি।

ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ।

এবার তিন ক্যাটাগরিতে সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। রাজীব নূর, হাসান হাফিজ ও এম মামুন হোসেন। তিনজনের মধ্যে কথাসাহিত্য (গল্প ও উপন্যাস) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূর। কাব্য (কবিতা/ছড়া) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন হাসান হাফিজ (আমার দেশ)। মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন এম মামুন হোসেন (সময়ের আলো) ।

এই তিনজনের সঙ্গে আরও ৩৬ জন সাংবাদিককে ‘লেখক সম্মাননা’ দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

যারা পেলেন সম্মাননা পুরস্কার

কথাসাহিত্য (গল্প/উপন্যাস): হাবিবুল্লাহ ফাহাদ (খৈয়া গোখরার ফণা), প্রণব মজুমদার (তোমাদের গল্প), মাইদুর রহমান রুবেল (ভূতের করোনা পজেটিভ), মুস্তাফিজ শফি (স্পর্শ), আমিরুল মোমেনীন মানিক (আরতুগ্রুল বাঙালি), দীপক চৌধুরী (ভোগ), ইন্দ্রজিৎ সরকার (অথবা অন্য কেউ), জীবন ইসলাম (একাত্তরে শিলারা), আসাদুজ্জামান অংশুমান (জয়ামায়া), শাহীন চৌধুরী (জাফলং থেকে সুন্দরবন) ও হক ফারুক আহমেদ (জলের জমিন)।

কাব্য (কবিতা/ছড়া): নির্মল চক্রবর্তী (ঈগলের মতো প্রসারিত হাত), আমিরুল মোমেনীন মানিক (ফেরেশতার সুগন্ধি রুমালে আমার আত্মা), রীতা নাহার (চান্দ্রসিক গল্পের রেশ), আব্দুল মান্নান (পরিযায়ী প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধ), সাজেদা পারভীন সাজু (অপেক্ষা), মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন (রাত্রিকালীন পাখির স্বর) ও আইরিন নিয়াজী মান্না (নির্বাচিত ১০০ ছড়া)।

মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আশিস সৈকত (খবরের ভেতরের খবর), মোহাম্মদ আল মাসুম মোল্লা (ভাষান চর), জাকির হোসেন (গণমাধ্যম বিদ্রোহী মার্চ), আবদুল্লাহ জেয়াদ (চলচ্চিত্রের কারিগর আজিজুর রহমান), আবু আলী (শেয়ার বাজারের সহজ পাঠ), পার্থ সনজয় (কান ডায়েরি ওহ বাংলাদেশ), জান্নাতুল বাকেয়া কেকা (বিভূঁইয়ে সাংবাদিকতা), শামসুজ্জামান শামস (বাঙালির ১০ উৎসব), সুমি খান (গণহত্যার ঘাতকেরা সক্রিয়: টার্গেট পিতা মুজিব থেকে ত্রাতা হাসিনা), শামীম আল আমিন (দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ), মোরসালিন আহমেদ (ভারোত্তোলনে বাংলাদেশ), আসাদুজ্জামান সম্রাট (দেশ থেকে দেশে), ইমরান উজ জামান (বাংলাদেশের মেলা পার্বন), মানিক মুনতাসির (মুখোশের আড়ালে মুখোশ), উদিসা ইসলাম (রাষ্ট্রনায়ক), তারিকুল ইসলাম মাসুম (করোনা), আলতাব হোসেন (জলবায়ুর দৃশ্যমান প্রভাব প্রেক্ষিত বাংলাদেশ) ও জি এম ফয়সাল আলম (১৯৭১ অজানা গণহত্যা)

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/একে/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে: বিএনপির আরও ৫ নেতা বহিষ্কার

সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে: মির্জা ফখরুল

এমপি-মন্ত্রীর স্বজন কারা, সংজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশায় আ.লীগ

মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের

স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার 

দেশ গরমে পুড়ছে, সরকার মিথ্যা উন্নয়নের বাঁশি বাজাচ্ছে: এবি পার্টি

বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ সালাম-মজনুর

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল

মন্দিরে আগুন ও দুই শ্রমিক পিটিয়ে হত্যায় বিএনপির উদ্বেগ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়: রিজভী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :