গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রা বর্তমান সরকারের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আমলে। এরপর ২০০৫ সালে সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত ১০টি প্রাইভেট চ্যানেল ছিলে, আজকে প্রায় ৪০টি প্রাইভেট চ্যানেল দেশে সম্প্রচারে আছে। আরেও কয়েকটি চ্যানেল সম্প্রচারে আসবে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেল দেশ টিভির নতুন লোগো উন্মোচন ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন দেশে দৈনিক পত্রিকা ছিলো সাড়ে চারশ, এখন সাড়ে ১২শ পত্রিকা রয়েছে। আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন অনলাইন গণমাধ্যমে সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি ছিলো। এখন কতো হাজার সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলতে হবে। বর্তমানে পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এর বাইরেও আরেও আছে। সুতরাং গণমাধ্যমের এই অগ্রযাত্রা বর্তমান সরকার, শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।
ড. হাছান বলেন, আমরা এক সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলাম, শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশের লোক সংখ্যা যখন ১৭ কোটি তখন বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করেছে। আমাদের স্বপ্ন আরেও এগিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই না। মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, সেটি থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে পথচলায় দেশটিভি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ শুধু নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্ম তৈরী করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানা নিতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখে। সেজন্য গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে সত্যিককার অর্থে সমাজের দর্পণ হিসাবে কাজ করতে পারে।
দেশ টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান তৌফিকা করিম বলেন, জনগণের কাছে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পৌঁছে দেয়া ও সুস্থ বিনোদনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশ ও মানুষের মনন গঠন, বিজাতীয় সংস্কৃতির থাবা থেকে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং জনগণকে মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্দিপ্ত করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। দেশ টিভি সেই দায় নিয়েই এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস বলেও জানান তিনি।
দেশ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, নির্মল বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারে দেশ টিভি তার প্রয়াস চালিয়ে যাবে। নতুন লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মেলানোর প্রচেষ্টা চালাবে প্রিয় এই প্রতিষ্ঠান বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ভাষায় ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক, সঙ্গীতে আইয়ুব বাচ্চু, শিক্ষায় অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, সাংবাদিকতায় মিজানুর রহমান খান (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে সুবীর নন্দী (মরণোত্তর), সঙ্গীতে আইয়ুব চৌধুরী, খেলাধুলায় মারিয়া মান্ডা ও জিঙ্গেল কুইন সুমনা হককে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/এসএস/কেএম)