লঞ্চে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট ৪০০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ২৩:২১ | প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩৪
ফাইল ছবি।

ভোলা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে বেনসন সিগারেটের প্যাকেট ৪০০ টাকা। একটি স্প্রাইটের ক্যানের দাম ১০০ টাকা। এভাবে পানি, চিপস, চা কফি, চানাচুর, ডিম পরোটা ভাজি- সব কিছুর দামই দুইগুণ করে নেয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। কেউ প্রতিবাদ করলে হেনস্থার শিকার হন। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় জানলেও কোনা ব্যবস্থা নেয় না। যাত্রী হয়রানির সঙ্গে লঞ্চের স্টাফদের যোগসাজস রয়েছে। টাকা নেওয়ার পর পুরো টাকার আবার স্লিপ দেয়া হয় না।

শুধু পণ্যের দামই যে বেশি রাখা হচ্ছে তাই নয়, অতিরিক্ত যাত্রীও বহন করছে লঞ্চ।

লঞ্চযাত্রায় পদে পদে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এক সেনা কর্মকর্তা। ভোলার চরফ্যাশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি তাসরিফ নামে একটি লঞ্চে এমন অভিজ্ঞতা হয় তার। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহনের প্রতিবাদ করায় তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি। এছাড়াও লঞ্চে বিক্রি করা প্রতিটি খাবারের দাম দ্বিগুন নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

ওই সেনা কর্মকর্তা জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি লঞ্চের একটি কেবিনে ওঠেন ঢাকায় আসার জন্য। পরে তিনি দেখতে পান, দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার মধ্যেও লঞ্চের নিচে, ওপরে কেবিনের সামনে ও পায়ে হাঁটার জায়গাতেও লোক ওঠানো হয়েছে। যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

পরে লঞ্চের ফ্লোরে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেবিনে ওঠার পর বের হওয়ার মতো জায়গাটুকুও ছিল না। হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। পরে রাত ১২টার দিকে প্রচণ্ড বেগে বাতাশ ছাড়লে লোকজন হইচই শুরু করেন। তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি এভাবে কেন এত যাত্রী উঠিয়েছেন। তখন এমভি তাসরিফের মালিক পক্ষের সুপারভাইজার মামুন আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

অভিযোগে ব্যাপারে জানতে চাইলে এমভি তাসরিফ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ওনার বক্তব্য সঠিক না। গতকাল আমাদের লঞ্চে যাত্রী একটু বেশি ছিল। তবে সেটা ধারণ ক্ষমতার বাইরে না। একটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৫০ জন। কিন্তু ওই লঞ্চে যাত্রী ছিল মাত্র ৮০০ থেকে ৮৫০ জনের মতো। আর অতিরিক্ত জিনিসপত্রের দামের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি সরেজমিনে দেখে যান।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক নৌ নিরাপত্তা ও মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, এমন অনিয়ম অভিযোগ পেলেই আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

ঢাকাটাইমস/২৭ অক্টোবর/এএ/এমএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :