‘তামাকে স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় আয়ের যে কথা বলা হয় সেটি কিছুই না’

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২২, ২০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তামাকের জন্য যে কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে বলা হয় সেটা স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় কিছুই না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তামাক বন্ধ হলে ৮০ লক্ষ লোক বেকার হয়ে যাবে যেটা একটা উছলিা ছাড়া কিছু না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে আমার মন্ত্রণালয় ও কাজ করে যাচ্ছে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া যেন দ্রুত পাস হয় সে জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

বৃহষ্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত 'প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত  ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য প্রণীত খসড়া দ্রুত আইনে পরিণত করতে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রনের জন্য গাইডলাইন ও করা হয়ছে। আমি মনে করি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া দ্রুতই পাস হয়ে যাবে। না হবার কোনো কারণ নেই। কেননা এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করব।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক, এমপি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি শ্রী বীরেন শিকদার, এমপি।

আ ফ ম রুহুল হক বলেন, তামাক যে খুবই ক্ষতিকর একটি পণ্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে আগামী প্রজন্মকে রক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটিকে আমি জোরালো সমর্থন জানাচ্ছি।

বীরেন শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদশে গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অনকেটাই এগিয়েছি, আরো এগুতে হবে। তামাকে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছুই নেই। তাই তামাককে অবশ্যই নিরুৎসাহিত করতে হবে। 

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন হোসনে আলী খন্দকার, সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নয়িন্ত্রণ সলে ও অতরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরবিার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মো. সেলিম রেজা, প্রধান নির্বাহী (অতরিক্ত সচিব), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও আবদুস সালাম মিয়া, গ্রান্টস ম্যানজোর, ক্যাম্পইেন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স।

এছাড়াও বক্তব্য রাখনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জোবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ  রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল আহমদে, দি ইউনয়িনের কারগিরি পরার্মশক এডভোকটে সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

প্রোগ্রাম অফসিার শারমনি আকতার রিনির সঞ্চালনায় ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/এসকেএস)