ডায়েটে যেসব শাকসবজি রাখলে শরীরের ওজন কমবে

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১১ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মানুষের জীবনযাত্রায় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং শরীরচর্চা না করার কারণে মেদভুঁড়ি বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ এবং শরীরের অন্যান্য জটিলতাও। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এমন খাবার যা খেলে মেদ দূরে থাকবে।

শরীরের ওজন কমাতে শাকসবজির বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে সবুজ শাকসবজির গুরুত্ব অপরিসীম। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমানো থেকে স্থূলতার সমস্যা— সব কিছুর সমাধান লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে। পুষ্টিবিদদের মতে, যারা রোগা হতে চাইছেন, তাদের ভরসা হতে পারে নানা ধরনের শাকসবজি। মিনারেলস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্কের মতো পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর শাকসবজি হতে পারে ওজন কমানোর অন্যতম হাতিয়ার। বাজারে স্বাস্থ্যকর শাকসবজির অভাব নেই। তবে ডায়েটে যেসব শাকসবজি রাখলে শরীরের ওজন কমবে, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

 

শশা

ওজন কমানোর কথা উঠলে সবার আগে শসার ওপর নির্ভর করেন মানুষ। মূলত পানি থাকে শসায়। ১০০ গ্রাম শসা খেলে শরীরে ১৫ ক্যালরি যায়।

 

লাউ

বাঙালির রান্নাঘরে লাউয়ের আনাগোনা নিত্যদিন। ওজন কমাতেও লাউয়ের জুড়ি নেই। আবার ফ্যাটস, কোলেস্টেরলের ঝামেলাও নেই। ১০০ গ্রাম লাউ থেকে মাত্র ১৫ ক্যালরি যায় শরীরে। এতে শরীরে পানির জোগানেও ঘাটতি পড়ে না। সোডিয়াম থাকে সামান্য।

 

পালংশাক

পালংশাকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফলে হজমশক্তির উন্নতির জন্য পালংশাক অব্যর্থ। হজম যত দ্রুত এবং ভাল করে হবে, রোগা হওয়ার পথ তত প্রশস্ত হবে। বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন যারা, এই শাক তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

 

ব্রকোলি

ব্রকোলিতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও দারুণ কার্যকরী। এমনকি ডায়াবিটিসের সমস্যা কমাতেও ব্রকোলি হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। ব্রকোলিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। জলের পরিমাণও বেশি। রোগা হওয়ার জন্য এই দু’টি বিষয় একান্ত ভাবে জরুরি।

 

লেটুস

ওজন কমানোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল লেটুস পাতা। ফাইবার এবং জল-সমৃদ্ধ এই পাতা বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

 

পার্সলে পাতা

পার্সলে পাতার একটি বৈশিষ্ট্য, এটি একটি ডাইইউরেটিক খাবার। অর্থাৎ এটি দেহের জলীয় ভার কমাতে সাহায্য করতে পারে। পাশাপাশি, এই পাতায় রয়েছে ইউজিনল নামের একটি তেল। এই তেল বিপাক হার বাড়ায়।

 

ধনেপাতা

বাঙালির অতিপরিচিত ধনেপাতা ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিড-সমৃদ্ধ। তা ছাড়াও এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন নামক একটি উপাদান, যা মেদ ঝরাতে কাজে আসতে পারে। এই উপাদানটিও বিপাক হার বাড়িয়ে তোলে।

 

মাশরুম

মাশরুম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাশরুম প্রোটিনে ভরপরু, যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমাতে বাধা দেয়।

 

মিষ্টি কুমড়া

বেশি পরিমাণ ফাইবার আর কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার হলো মিষ্টি কুমড়া। ওজন কমাতে তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন মিষ্টি কুমড়া।

 

ফুলকপি

ওজন কমাতে ডায়েটেও রাখতে পারেন ফুলকপি। কিটো ডায়েটে অনেকে ফুলকপি রাখেন। ১০০ গ্রাম ফুলকপি থেকে শরীরে মাত্র ২৫ গ্রাম ক্যালরি যায়। এতে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং ভিটামিন সি-ও থাকে।

 

গাজর

কম ক্যালোরির খাবার ও মেদ কমাতে পারে- এই দুই কারণেই মেদ ঠেকানোর খাবারে গাজর বেশ কার্যকর। ফাইবারে ঠাসা গাজরের রস নিয়ম মেনে খেতে পারলে কমবেই ভুঁড়ি। ওজন ঝরিয়ে চেহারাকে উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।

(ঢাকাটাইমস/৩০ অক্টোবর/আরজেড)