‘গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে সরকারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৫৩ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ২২:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

বুধবার দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশব্যাপী গণসমাবেশ হচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার পরও সমাবেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হচ্ছে। সেখান থেকে সরকারকে জনগণ যে লালকার্ড দেখাচ্ছে এতে ভীত হয়ে এই অবৈধ সরকার হাস্যকর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

সরকারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যখন দেশের জনগণ আন্দোলনমুখী হয়ে ওঠে ঠিক তখনই এই সরকার যেকোনো ছুঁতো খুঁজে বেড়ায় কিছু একটা করার জন্য। এটাও তার একটি ছুঁতো।
 

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন, এই সরকারের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সব মানুষ বুঝতে পারছে। অবৈধ সরকার চেয়েছিল ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে। কিন্তু ওই দিন পর্যন্ত তো উনারা যেতে পারবেন না। তার আগেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা না থাকার মাঝখানে খালি একটা জিনিসই আছে। সেটা হচ্ছে পুলিশ। আর কিছুই নেই। আগামীকাল যদি পুলিশ বলে আমরা নিরপেক্ষ হয়ে গেলাম। তখন চারদিকে আর আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১৪ বছর ক্ষমতা চালিয়েছেন, যাই করেন এখন সসম্মানে বিদায় নিবেন, না গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গদি ছাড়বেন। তাদের সামনে এখন দুটি পথই খোলা। স্বৈরাচার কখনো সোজা পথে যায় না। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। অনেক রক্ত ঝরিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। এটা নিশ্চিত এদেশে শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। উনার আর সেই ক্ষমতা নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। আর অবশ্যই সেই নির্বাচনে বেগম জিয়া অংশ নিবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।  
 

মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতের পরিচালনায় সকাল থেকেই জেলার সবকটি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা, ক্যাপ, ব্যানার, রঙ-বেরঙয়ের ফেস্টুনসহ দলীয় নেতাদের ছবি ও স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসতে থাকে।

সমাবেশ শুরুর আগেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। একের পর এক স্লোগানে মুখরিত করে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।  

বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা জানান, তারা আসার পথে নানা স্থানে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দেয়। কয়েকটি স্থানে গাড়ি আটকেও রাখে। গেল কয়েকদিন থেকে যুবসমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ।

সমাবেশে বক্তারা আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।

যুব সমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজিনা নাসের, সাবেক চেয়ারম্যান  ফয়ছল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিছবাহ-উর রহমানসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা যুবদলের নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/এআর)