তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় হাতুড়িপেটায় মারা গেলেন দ্বিতীয় স্বামী

মাদারীপুরে সৌদিপ্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করায় হাতুড়িপেটার ঘটনার তিন দিন পর মারা গেলেন দ্বিতীয় স্বামী আজম মাতুব্বর। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। নিহত আজম সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়ারভাঙ্গা এলাকার রাজ্জাক মাতুব্বরের ছেলে ও মোস্তফাপুর বাজারের মোবাইল মোকানিক ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ১০ বছর পূর্বে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার আটিপাড়া এলাকার লতিফ হাওলাদারের ছেলে ওবাইদুল হাওলাদারের (৩৮) সাথে সদর উপজেলার খৈয়ার ভাঙ্গার কালাম ঢালীর মেয়ে লিমা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের ৫ বছর পর সৌদি আরব চলে যায় ওবাইদুল। এ সময় তার স্ত্রী লিমার সাথে মোবাইল মেকানিক আজমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় বছর প্রেম করার পর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে সন্তান রেখে আজমের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে লিমা। বেশ কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে চলে আসে ওবায়দুল। এরই জেরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মোস্তফাপুর পল্লী বিদ্যুৎ মসজিদের সামনে আসলে মঙ্গলবার রাতে লিমার বর্তমান স্বামী আজমের ওপর হামলা চালায় ওবাইদুলসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন। এ সময় আজমকে হাতুড়িপেটা করা হয়। শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করা হয়। আজমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আজমকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তিন দিন চিকিৎসা শেষে শুক্রবার দুপুরে মারা যায় আজম।

নিহত আজমের স্ত্রী লিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে হাতুড়িপেটা করে মেরে ফেলা হয়েছে। ওবায়দুলের সাথে আমার অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়েছে, তারপরেও সে জোর করে আমার বর্তমান স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি ওবায়দুলসহ তাদের সহযোগীদের বিচার দাবি করি।

ওসি মনোয়ার আরো বলেন, এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। যদি নিহতের পরিবার মামলা দেয়, তাহলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/এলএ)