সোনারগাঁয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৮ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১১:২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রাম থেকে মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার আসামিদের জেলা আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদেরকে বারদী বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর নুরুল উগুল মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে রাকিব, নাগপাড়া গ্রামের মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন মিলে উত্ত্যক্ত করতো। এর জের ধরে ওই ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেয়।
এক পর্যায়ে বখাটেরা বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। গত ১ নভেম্বর রাতে ওই ছাত্রী টয়লেটে যেতে ঘর থেকে বের হলে রাকিবের নেতৃত্বে শাকিল ও মোশারফ মুখ চেপে ধরে তাকে পার্শ্ববর্তী দৌলরদী ছাগইল্লাপাড়া এলাকায় সেলিম মিয়ার ছেলে শাকিলের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে তারা তিনজন তাকে ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে। বিষয়টি এলাকায় সালিশকারীদের জানিয়ে বিচার দাবি করলে তারা বিচারের আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। তিনদিনেও এর প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রীর বাবা।
অভিযোগের পর পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বারদী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রাকিব ও মোশারফকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। স্থানীয় গ্রাম্য সালিশকারীদের কাছে বিচার দাবি করলে তিনদিনেও তাদের কাছে কোনো প্রতিকার পাইনি। আমি আমার মেয়ের ইজ্জত হারানোর সঠিক বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
(ঢাকা টাইমস/০৫নভেম্বর/এসএম)