সাগর-রুনি হত্যা: পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য সময় নিচ্ছে র‌্যাব

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা ১০ বছর পেরিয়েছে। এত বছরেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি এর তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাব।

সবশেষ গত ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন দিন ঠিক করেন। এ নিয়ে ৯৩ বারের মতো পেছায় প্রতিবেদন দাখিল।

গত ১০ বছরেও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারল না র‌্যাব? বারবার কেন প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হচ্ছে ও চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য আর কতদিন সময় লাগতে পারে—বাহিনীটির কাছ থেকে তা জানতে চেয়েছে ঢাকা টাইমস। এ ব্যাপারে র‌্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য সময় নিচ্ছে র‌্যাব’।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

আলোচিত মামলাটির তদন্তের জন্য আর কত সময় লাগবে সেবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব মুখপাত্র কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আমরা যখন প্রতিবেদন আদালতে দিচ্ছি তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে, আমাদের দেয়া তথ্য উপাপ্ত স্বয়ং সম্পূর্ণ কি না মামলার রায় ঘোষণার জন্য। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কি না। তার প্রেক্ষিতে আদালত আমাদের সময়। কিছু প্রেক্ষাপট বলে বা কিছু বিষয় বলে আদালত আমাদের সময় দিচ্ছে। সেই বিষয়গুলোই আমরা নিয়ম তান্ত্রিকভাবে আদালতে সাবমিট করছি।’

তার মানে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মঈন বলেন, ‘না’।

আদালত কি আপনাদের তদন্তে সন্তুষ্ট না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আদালত মনে করছে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ আরও ন্যারো ডাউন করার স্কোপ রয়েছে। সেজন্য আদালত আমাদের সময় দিচ্ছে।’

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯৩ বার পিছিয়েছে। আর কতবার পেছাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে। যখনই আমাদের মামলার তারিখ থাকে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে আদালতে কিছু প্রতিবেদন দিতে হয়। তদন্তের যে অগ্রগতি সেই প্রতিবেদন আমরা আদালতে জমা দিয়েছি।’

তদন্ত প্রতিবেদনে কী বলেছেন—জানতে চাইলে মঈন বলেন, ‘বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত আমরা আদালতে জমা দিয়েছি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে। যার প্রেক্ষিতে আদালত আমাদের বলেছে যে, আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের অবকাশ রয়েছে। যার কারণে আদালত থেকে আমাদের সময় দেয়া হচ্ছে।’

‘আমাদের তদন্তের যে প্রেক্ষাপট সেটি হচ্ছে আমরা যাব না যে একজন নিরপরাধ ব্যক্তি ভিক্টিমাইজ হয়। সঠিক তদন্তের জন্যই মূলত বিভিন্ন সময় আদালত কর্তৃক যে সময় দেয়া হচ্ছে সে সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা প্রকৃত আসামি যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য আদালতে বিষয়গুলো সাবমিট করছি। আদালত মনে করছে এখানে আরও তথ্য পাওয়ার অবকাশ রয়েছে। এখানে আরো তদন্তের অবকাশ রয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/এসএস/ইএস/ডিএম)