বন্ধ হওয়া ২০০ সিনেমা হল চালু করেছি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২২, ২০:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলচ্চিত্রে অনেক সংকট ছিল, এখন তা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সাধনে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ সিনেমা হল চালু করেছি।

 

শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ২০২২-২৪ সালের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক ও বাচসাস সম্মাননা-২০২২ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের জন্য শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করছি। তাই আমরা কেউ সিনেপ্লেক্স করতে চাইলে তাদের অনুপ্রাণিত করছি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দও হয়েছে।'

 

মন্ত্রী বলেন, ‘এই ঋণ বরাদ্দ হওয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য অনেকেই আবেদন করেছে। কেউ যদি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চায় তাহলে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলোকেও আমরা ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করবো।’

 

বাচসাসের সমৃদ্ধ কামনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। এ দেশের চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ অর্জনের ক্ষেত্রে বাচসাস বিরাট অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতেও সেই ভূমিকা জোরালেভাবে পালন করার প্রত্যাশা করছি। একটি সংগঠন ৫৩ বছরে পদার্পণ করেছে, এতদূর এগিয়েছে এটা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। নতুন কমিটিকেও আমি অভিনন্দন জানাই।’

 

‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে’- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পালানোর ইতিহাস তো বিএনপির। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন যে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। এবং তার সঙ্গে আরো অনেকেই পালিয়ে গেছেন।’

 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ শুধু সরকারে নয়, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ দেশের সব পেশার মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগের তুলনায় অনেক গভীরে  প্রোথিত হয়েছে। সে কারণেই বিএনপির  গাত্রদাহ, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে তা সহজেই অনুমেয়। তারা আসলে পাকিস্তানের পক্ষে।'

 

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সরকার ও জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে বিএনপি যদি বিরত থাকে তাহলে তাদের সভা-সমাবেশ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। সরকার এক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করছে এবং সেই কারণেই তারা সমাবেশ করতে পারছে।

 

'আর আমরা যখন বিরোধী দলে  ছিলাম, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে  তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে হামলা করা হয়েছিল, ২৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল' উল্লেখ করেন মন্ত্রী হাছান।

 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, বিএনএস গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও সংবাদ প্রতিদিনের প্রকাশক এম.এন.এইচ বুলু, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ বুলেটিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ও আজকালের খবর সম্পাদক ফারুক তালুকদার, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরিফ শাহাবুদ্দিন, এনআরবি অ্যাসোসিয়েশন ইউএসের চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/এলএম/কেএম)