ফখরুলকন্যার হাতে উঠল ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪:১৯ | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার হাতে মির্জা ফখরুল-কন্যা ডা. শামারুহ মির্জা

‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার হাতে পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে ডা. শামারুহ মির্জা। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

পুরস্কার প্রাপ্তির পর অনুভূতি জানিয়ে ডা. শামারুহ দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরস্কারটি শুধু ব্যক্তি হিসেবে আমি পেয়েছি, বিষয়টি সেরকম নয়। পুরস্কারটি আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘সিতারাস স্টোরি’রও এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার। এই সম্মান বাংলাদেশের মানুষেরও।’

ডা. শামারুহ বলেন, ‘আমি মনে করি এ ধরনের বড় অর্জন আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় এবং মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি সেই জায়গা থেকেই দেখছি।’

তবে শুধু শামারুহ একা নন, তার সঙ্গে একই সম্মাননা পেয়েছেন নাজমুল হাসান নামে আরও এক বাংলাদেশি। মানুষকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘লোকাল হিরো’ ক্যাটাগরিতে ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছেন শামারুহ ও নাজমুল।

দুই বাংলাদেশির মধ্যে মির্জা ফখরুল-কন্যা ডা. শামারুহ মির্জা পেশায় একজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার বাসিন্দা। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি ২০১৭ সালে তিনি ‘সিতারাস স্টোরি’ নামে একটি সংগঠন সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কর্মশালা, টক শো, সেমিনার এবং সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে, যা নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য, গার্হস্থ্য সহিংসতা, নিজের যত্ন এবং দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করে।

২০২১ সালে ডা. শামারুহর সহ-প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘সিতারাস স্টোরি’ ‘এসিটি মেন্টাল হেলথ মান্থ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার লাভ করে। ৪৪ বছর বয়সী শামারুহ নিজেও ‘ক্যানবেরা কমিউনিটি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এর চূড়ান্ত পর্বের একজন প্রতিযোগী ছিলেন।

অন্যদিকে আরেক বাংলাদেশি নাজমুল হাসান ‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছেন লকডাউনে মানুষকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। ২০২১ সালের আগস্টে ক্যানবেরায় কোভিড-১৯ লকডাউন ঘোষণা করা হলে মানুষের দুর্দশা অনুভব করতে পেরে তিনি বিনামূল্যে খাবার ও অন্যান্য দ্রব্যাদি বিতরণ করেন।

এছাড়া ২০২১ সালে আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসনে সহায়তা শুরু করেন নাজমুল হাসান। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের পাশাপাশি শরণার্থীদের কর্মসংস্থান এবং সরকারি পরিষেবাগুলো পেতে ভূমিকা রাখেন তিনি।

রেড ক্রসের সমন্বয়ে নাজমুলের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘রহিমুনের’ মাধ্যমে এই কাজটি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ৪০ বছর বয়সী নাজমুল তার দাতব্য কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তঃধর্মীয় এবং মাল্টি-কালচারাল অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ক্যানবেরা টাইমস’ নাজমুল হাসানকে সমাজে একজন রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর আগে তিনি ‘এসিটি আউটস্ট্যান্ডিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন ২০২২’ এ সম্মানিত এবং ‘এবিসি ক্যানবেরা কমিউনিটি স্পিরিটস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’-এ বিজয়ী হন।

(ঢাকাটাইমস/৯ নভেম্বর/এজে)