সৃজনশীলতার নামে শিক্ষার্থীদের কী শেখানো হচ্ছে

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৯ | প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫০

সৃজনশীলতার নামে আসলে দেশের শিক্ষার্থীদের কী শেখানো হচ্ছে- এবারের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রশ্নটি সামনে আসার পর জোরালভাবে জেগেছে এই প্রশ্ন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা পরীক্ষায় এবার যে উসকানিমূলক প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্নপত্রে এমন সাম্প্রদয়িক বিষয় তুলে ধরেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।

এভাবে আরও কত কী শেখানো হচ্ছে:

ভুল নয় ইচ্ছা করে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন প্রণয়ন করেছেন প্রশ্নকারী। আর যাচাইকারীরাও দায়িত্বে চরম অবহেলা দেখিয়েছেন। এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

গোপনীয়তা রক্ষা করতে গিয়েই যত জটিলতা। কারণ কেন্দ্রে পৌঁছানোর আগে জানার উপায়ও নেই প্রশ্নপত্রে কী রয়েছে? জানেন শুধু প্রশ্ন প্রণয়ন ও যাচাইকারীরা। ফলে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ছাপার ভুল, সেটের ভুল, পুরোনো প্রশ্নসহ নানান সংকট রয়েই যাচ্ছে। নিয়মানুযায়ী আগে থেকেই সতর্কতামূলক নির্দেশনা থাকায় সংশ্লিষ্টদের ওপর ভরসা রাখার বিকল্প নেই। তাতেই বাধে বিপত্তি, যেটা ঘটেছে এবারের এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রে।

এ ব্যাপারে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, ‘প্রশান্ত কুমার পালের মাইন্ড সেটাপ ওই রকম ছিল, নাহলে এ ধরনের একটা প্রশ্ন কেন তিনি প্রণয়ন করবেন। তিনি হয়তো জেনেশুনেই প্রণয়ন করেছেন। এটা ভুলবশত প্রণয়ন করার কথা নয়। কিন্তু যারা মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হয়তো দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। কারণ তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ ধরনের একটা প্রশ্ন মডারেশন হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আসার সুযোগ নেই। এ রকম ধৃষ্টতা দেখাতে পারে না। এ রকম অপরাধ করলে সাজা পাবে। আমাদের শিক্ষকদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরিতে নয়টি শিক্ষা বোর্ডে নির্বাচিত শিক্ষক আছেন ৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতি বিষয়ের জন্য প্রতিটি বোর্ডে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব পান চারজন শিক্ষক। একইভাবে প্রতিটি বোর্ডে প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র মডারেট করেন আলাদা চারজন শিক্ষক।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রে বিতর্কিত প্রশ্ন আসার ঘটনায় চলছে সমালোচনা। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির প্রক্রিয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকার এমন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যার ফলে প্রশ্ন তৈরির প্রাথমিক ধাপের পর থেকে পরীক্ষার হল পর্যন্ত নিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে। তবে এই পদ্ধতিতে প্রাথমিক ধাপের পর পরীক্ষার্থীর হাতে প্রশ্ন পৌঁছানোর আগে মান যাচাইয়ের আর কোনো সুযোগ নেই।

‘প্রশ্ন প্রণয়নকারীর কাজ শেষে তা মডারেশন করেন আরেকজন। মডারেশন শেষ হলে প্রশ্ন সরাসরি ছাপাখানায় চলে যায়। ফলে এমন বিতর্কিত বিষয় থাকলেও তা ঠিক করার কোনো উপায় থাকে না।’

উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিতর্কিত ওই প্রশ্নটি করেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। প্রশ্নপত্রের মডারেশনে (যাচাই-বাছাই) করেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

প্রশ্নপত্র তৈরি হচ্ছে কীভাবে

শিক্ষা বোর্ডসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এসএসসি বা এইচএসসির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য নির্বাচিত শিক্ষকদের তালিকা রয়েছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরিতে নয়টি শিক্ষা বোর্ডে নির্বাচিত শিক্ষক আছেন ৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতি বিষয়ের জন্য প্রতিটি বোর্ডে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব পান চারজন শিক্ষক। একইভাবে প্রতিটি বোর্ডে প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র মডারেট করেন আলাদা চারজন শিক্ষক।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘প্রতি বোর্ডে চারজন শিক্ষক আলাদা প্রশ্ন তৈরি করেন। সেগুলো তারা সিলগালা খামে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠান। এরপর চারজন মডারেটর বোর্ডে এসে একটি বদ্ধ কক্ষে প্রশ্নগুলো মডারেট করেন।’

এক একটা প্রশ্ন খুলে তাতে ভুলভ্রান্তি বা দাড়ি-কমা ঠিক করেন। প্রশ্ন যথাযথ না হলে বাদ দেয়া হয়। কোনো উদ্দীপক পছন্দ না হলে বাতিল করে নতুন উদ্দীপক দেয়া বা সংযোজনের সব দায়িত্ব তাদের। এরপর পরিমার্জিত চারটি প্রশ্ন সিলগালা খামে পাঠানো হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। সেখানে সব বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লটারি হয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে লটারির আয়োজন করেন। সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রশ্নপত্র নির্বাচন করেন লটারিতে। সিলগালা অবস্থায় চারটি সেট থেকে লটারিতে নির্বাচন করা হয় দুটি সেট। তবে কোন সেটে কোন প্রশ্ন আছে, কোন বোর্ডে বিতরণ করা হবে বা কোন প্রশ্ন কোন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে করা তা কারও জানা থাকে না।

মানহীন প্রশ্ন শনাক্ত করার সুযোগ নেই

প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পুরো প্রক্রিয়ায় অনেক ধরনের নিরাপত্তা ধাপযুক্ত হলেও এতে মানহীন বা বিতর্কিত প্রশ্ন থেকে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এ সমস্যা দূর করতে হলে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী শিক্ষক ও মডারেটরদের মানোন্নয়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক।

জিয়াউল হক বলেন, ‘ঢাকা বোর্ডের বিতর্কিত প্রশ্নপত্রটি যিনি তৈরি করেছেন তিনি অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন। আবার যারা মডারেট করেছেন তারাও অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন। যদিও কারও সঙ্গে কারও দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব এমন শিক্ষদের নিয়োগ দেয়া বা বাছাই করা, যারা অবশ্যই ভালো প্রশ্ন প্রণয়ন করতে পারেন।’

এ জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্পও দেখছেন না জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘স্কুল ও কলেজ লেভেল থেকেই পরীক্ষার প্রশ্ন করানোর অভ্যাস থাকার দরকার। যারা ভালো প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন তারাই যে ভালো প্রশ্ন করবেন এমন নয়। দেখা গেল প্রশিক্ষণে কারও ভালো নম্বর আছে, তবে আগে প্রশ্ন করার অভিজ্ঞতা নেই- এমন ক্ষেত্রে বিতর্কিত বিষয় উঠে আসতে পারে।’

এ বিষয়ে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন সেটার (প্রশ্ন প্রণয়নকারী) ও মডারেটরদের নিয়েও ভাবছি। তাদের এমন কাজের কারণে এগুলো হচ্ছে। সেগুলো আমরা ট্রেস আউট করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

‘প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের নিয়ে আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে। বিজি প্রেসে যে প্রশ্ন দেয়া হচ্ছে সেটা নিয়েও আমাদের আরও ভাবতে হবে। কোনো বোর্ডের প্রশ্ন যেন অন্য বোর্ডে না যায়, তা নিয়েও আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। ১২ নভেম্বর আমাদের একটি মিটিং আছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’ বলেন তিনি।

যা ছিল ওই প্রশ্নপত্রে

গত ৬ নভেম্বর বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিয়ে সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ ওঠে।

প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

প্রশ্নে দেখানো হয়, নেপাল ও গোপাল নামে দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই নেপাল তার বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে একজনের কাছে একাংশ জমি বিক্রি করে দেন। আব্দুল সেই জমিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমিবিক্রেতার ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

লেখক আনিসুল হককে হেয় করে এইচএসসিতে প্রশ্নপত্র

এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির (বিএম) বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওই প্রশ্নে লেখক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

গত ৬ নভেম্বর কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বাংলা-২-এর একটি সৃজনশীল প্রশ্নে (ক বিভাগের গদ্যাংশ) উদ্দীপকে লেখক আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘২১শে বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’

কারিগরি বোর্ডের ওই প্রশ্নপত্রের ১ নম্বর প্রশ্নে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণ করে উদ্দীপকে বলা হয়, ‘(ক) ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী? (খ) ‘লেখা ভালো হইলে সুনাম আপনি আসিবে।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (গ) আনিসুল হক কোন কারণে ব্যর্থ, তা ‘বাঙ্গলার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। (ঘ) সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ‘বাঙ্গলার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের পরামর্শ বিশ্লেষণ কর।’

আনিসুল হককে হেয় করে প্রশ্ন, ৩ সদস্যের কমিটি গঠন

চলমান এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নে সাহিত্যিক আনিসুল হককে হেয় করাসহ বিভিন্ন বৈষম্যমূলক উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। কমিটিকে পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান নিশ্চিত করেছেন।

নড়াইলের দুই শিক্ষককে তলব

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির ঘটনায় নড়াইলের দুই কলেজের দুই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার যশোর বোর্ডে তলব করা হয়েছে। এ প্রশ্নের চারজন মডারেটরের মধ্যে দুজন ছিলেন নড়াইলের। তারা হলেন- নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন ও মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ। প্রশ্নপ্রণেতা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, ‘এ মেসেজটা শোনার পর আমি প্রশ্নপত্রটি সংগ্রহ করেছি। কোন শিক্ষক এমন প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে দায়িত্বও দিয়েছি। কে এ প্রশ্নটি করেছেন, তাকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা সম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সব বোর্ডে কেন এ ধরনের কাজ করছে, কী কারণে করছে- তা জানা দরকার। এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। প্রশ্ন আসলে বোর্ডের পক্ষে দেখা সম্ভব হয় না। শিক্ষক প্রশ্নপত্র প্রণয়নের পর মডারেটররা সেটি যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেন। শিক্ষকরা শিক্ষিত মানুষ হয়ে অশিক্ষিত কাজ করছেন, এটি দুঃখজনক।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, পাণ্ডুলিপি বের করে এটার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।’

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/এএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :