বোমা পাওয়া গেল আ.লীগ নেতার বাড়িতে, মামলা বিএনপি নেতাদের নামে

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০২২, ২০:১৭ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২২, ২০:২১

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগ নেতাই বিএনপির। এ ঘটনায় বিএনপি নেতারা বলছেন, অপরাধ না করেও তাদের আসামি করা হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান হাসানের বাড়ি থেকে গানপাউডার, ককটেল, হাতবোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশ।

এরপর নরসিংদী সদর থানার এসআই ইউসুফ আলী খান ৯ অক্টোবর ইমান হাসানকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে এবং এসআই অভিজিৎ ১০ অক্টোবর আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম মিয়াকে প্রধান করে ১২ জনের নামে মামলা করেন। এই মামলায় ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে ইমান হাসানকে।

এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, জেলা বিএনপির সদস্য জাহেদুল করিম জাহিদ,  হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নরসিংদী শহর যুবদলের সদস্য সচিব শামীম সরকার, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির (রাসেল), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম অপু, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি ইলিয়াস, সুমন ও বাবুলকে।

বিএনপি নেতাদের দাবি অপরাধ না করেও তাদের আসামি করা হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, যারা জড়িত তাদের নামেই মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ইমান হাসানের বাড়ি থেকে বিস্ফোরক দ্রব্যযুক্ত তিনটি ককটেল, ৫৪টি ছোট-বড় মার্বেল, ৭৪টি পাথরের টুকরা, পাঁচটি খালি কৌটা এবং সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৫৪০ গ্রাম গানপাউডার জব্দ করা হয়েছে। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সাধারণ জনগণের ক্ষতি ও আধিপত্য বিস্তারে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য রাখে।

জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন জানান, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে অহেতুক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নরসিংদী সদর থানার ওসি আবুল হোসেন ভূঁইয়া আসামিদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘যারা মামলার বাদী তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে গ্রেপ্তারকৃত আসামি বাকিদের নাম যেভাবে বলেছেন সেভাবেই এজাহারে লেখা হয়েছে।’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন মিয়া বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে পুলিশ যাদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তাদের নামেই মামলা করেছে। পুলিশ বিনা অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে মামলা করে না। প্রথমে ইমানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরেকটি মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এআর)