তেঁতুলিয়ার ইকোপার্কে হরিণের মৃত্যু

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২২, ২১:১০

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ইকোপাকের্র একটি হরিণ মারা গেছে। শনিবার সকালে পার্কের মধ্যে হরিণটি মৃত পাওয়া যায়। বন বিভাগ পরিচালিত ইকোপার্কে এখন মাত্র দুইটি হরিণ থাকল। কিছুদিন আগে আরও দুটি হরিণ মারা যান সেখানে। ভারসাম্যহীন পরিবেশ, শীতের তীব্রতা, নিরাপত্তা সংকট এবং অবহেলার কারণে হরিণ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর পাড়ে বন বিভাগের প্রায় দশ একর জমির উপর একটি আম বাগানে গড়ে উঠে তেঁতুলিয়া ইকোপার্ক। ২০২১ সাল থেকে ইকোপার্কে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রদর্শণী শুরু হয়। এ সময় দিনাজপুর বন বিভাগ থেকে এক জোড়া হরিণ নিয়ে আসা হয় তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে। এদের মধ্যে জন্মের পরই একটি হরিণের শাবক মারা যায়। পরে মা হরিণটি অসুস্থ হলে আবার দিনাজপুর রামসাগর ইকোপার্কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় এবং আবারও এক জোড়া হরিণ নিয়ে আসা হয়। তিনটি পুরুষ হরিণের মধ্যে বর্তমানে দুটি হরিণ জীবিত আছে। ইকোপার্ক গড়ে উঠার পর স্থানীয়দের মাঝে উৎসাহ দেখা দিয়েছিল। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ইকোপার্কটি পরিদর্শন করেন। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে ইকোপার্কে অনেক সময় কুকুর ঢুকে হরিণ তাড়া করে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, জেলায় এটি একমাত্র ইকোপার্ক। তেঁতুলিয়া বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মহানন্দার পাড়ের এই ইকোপার্ক প্রদর্শন করেন। যথাযথ উদ্যোগের অভাব আর অবহেলার কারণে ইকোপার্কের প্রাণীরা মারা যাচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক।

তেঁতুলিয়া ইকোপার্কের ইজারাদার কাজী মকছেদ বলেন, ইকোপার্কটি ইজারা দিয়ে যেন দায় শেষ। এখানে কোন প্রাণিবিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসক নেই। মূলত পর্যাপ্ত প্রাণি এবং জনবলের অভাবে ইকোপার্কটি ভালভাবে চলছে না।

তেঁতুলিয়া বন বিভাগের বিট অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, হরিণটি ভালোই ছিল। হঠাৎ করে অসুস্থতা দেখা দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সকালে দেখি হরিণটি মারা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :