‘নিখুঁত ছকে পরিকল্পিত’ খুন

রুদ্র রাসেল, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫৮ | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার রহস্যের জট খোলেনি। এ ঘটনায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা ফারদিনের বান্ধবী বুশরার কাছ থেকেও মেলেনি খুনির খোঁজ। জিজ্ঞাসাবাদ সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বুশরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। তবে তার কাছ থেকে হত্যায় সরাসরি জড়িতদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির ইউনিটগুলোর কয়েক রকম বক্তব্য আসায় হত্যা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেক প্রশ্ন। তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। সব মিলিয়ে খুনের মোটিভ সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফারদিনকে নিখুঁত ছক কষে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনি বা খুনিচক্র খুবই ধূর্ত। ফারদিনের বাবা-মা, সহপাঠী ও স্বজনরা বলছেন, ফারদিন মাদক বা কোনো অপরাধচক্রে জড়িত ছিলেন না। পড়াশোনা, বুয়েটের ডিবেটিং ক্লাব ও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আন্দোলন করছিলেন। আর রিমান্ডে থাকা বুশরা ফারদিনের প্রেমিকা নয়- বান্ধবী।

তবে ফারদিনের প্রেমিকার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সন্দেহে রয়েছে ফারদিন সংশ্লিষ্ট আরেক যুবকও।

প্রযুক্তি বিশ্লেষণে গত ৪ নভেম্বর রাতে ফারদিনের অবস্থান কেরানীগঞ্জ ও পুরান ঢাকার জনসন রোডে পাওয়া যায়। রাত ২টা ৩৫ মিনিটে ডেমরার চনপাড়া এলাকায়ও তার অবস্থান দেখা গেছে। ফারদিনের বাসা ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায়। এ কারণে ধারণা করা হয়, বাসায় যাওয়ার পথে তিনি হয়তো সেখানে গিয়েছিলেন। গভীর রাত এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হওয়ায় জায়গাটিকে সন্দেহের আওতায় নেন তদন্তকারীরা। এরপর সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। চনপাড়া বস্তির ‘খালা’ নামে পরিচিত এক নারী পুলিশ সদস্যদের জানান, গভীর রাতে তার ঘরের পেছনে একটি ছেলেকে কয়েকজন তরুণ মারধর করে।

ফারদিনের খুনিরা খুবই চতুর এবং পরিকল্পনা মাফিক খুনের মিশন চালিয়েছে বলে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে গতকাল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও এমনটাই মনে করছে। তারা বলছেন, অপরাধী যতই ধূর্ত হোক, অপরাধের কোনো না কোনো ছাপ রেখে যায়। সেই ছাপই খোঁজা হচ্ছে বলে জানায় তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র।

মামলার তদন্তে কাজ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সংস্থাটির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল সোর্সের মাধ্যমে খুনের ‘ক্লু’ আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতা, প্রেমঘটিত, বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিষয়ক আন্দোলন নিয়ে রাজনৈতিক বিদ্বেষ, ছিনতাই-অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া, ফারদিনের বাবার সাংবাদিকতা সংক্রান্ত প্রতিহিংসা-শত্রুতা, মাদক সংশ্লিষ্টতা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ফারদিনের স্পেনের মাদ্রিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে ফারদিন খুনের পর বুশরা ছাড়াও ফারদিনের এক বন্ধু ও প্রেমিকার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এছাড়া, খুনের মোটিভ উদ্ধারে ফারদিনের সহপাঠী, স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।

অন্যদিকে ফারদিন হত্যায় সরাসরি জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ফারদিন হত্যার সঙ্গে মাদকের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মাদকের জন্যই যে এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধারণা পাইনি। ঘটনার পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। ফারদিনের সাথে কারও কোনো বিষয় নিয়ে শত্রুতা বা বিদ্বেষ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

ফারদিনের বান্ধবী বুশরা সম্পর্কে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘ফারদিনের বান্ধবী বুশরা ডিবি হেফাজতে আছে। তার কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা চলছে। রিমান্ডে তিনি ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে ফলপ্রসূ কোনো তথ্য পেলে আমরা গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরব।’

এদিকে, ফারদিন হত্যার সঙ্গে তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার সম্পৃক্ততা এখনও পাওয়া যায়নি বলে জিজ্ঞাসাবাদকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে।

মামলার তদন্ত তদারককারী ডিবি পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যার মূল আসামিকে আমরা খুঁজছি। অভিযান অব্যাহত আছে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দেওয়া অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মাদক, নারীঘটিত কারণসহ কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। যখন যে তথ্য হাতে আসছে, তার ভিত্তিতে পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’ ফারদিনের বান্ধবী বুশরা সম্পর্কে ডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমকে জানানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য তার কাছ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, বুশরার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই আজ বা কাল বুশরাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে। এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের পরামর্শ চেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। তবে গতকাল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র বলছে, ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়ে মাদক সেবন ও চনপাড়া বস্তি ঘিরে যে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গত শুক্রবার চনপাড়া বস্তি পরিদর্শন করেছে ডিবি পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে বেশকিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ করছে ডিবি পুলিশ। তবে এখনও ফারদিনের মাদক সেবনে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য-প্রমাণ ডিবির হাতে আসেনি। এছাড়া ফারদিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের লোকেশন অনুযায়ী রামপুরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোতেও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। ওইসব ফুটেজ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ক্লু উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র গতকাল ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নিহত এই বুয়েট ছাত্রের মোবাইল ফোনের ‘এলাকাভিত্তিক অবস্থানের নতুন তথ্যই’ এ হত্যার তদন্তে ডেমরার চনপাড়াকে সামনে নিয়ে আসে। তবে ফারদিনকে হত্যার পর ঘটনার মোড় ভিন্ন দিকে ঘুরাতে খুনিরা পরিকল্পিতভাবে ফারদিনের মোবাইল ফোন চনপাড়া এলাকায় নিয়ে যেতে পারে, সেই সন্দেহকেও তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে নিহত বুয়েট ছাত্রের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা ঢাকা টাইমসকে জানান, তার ছেলের মাদক সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ফারদিন চনপাড়ায় যেতেই পারেন না। আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন বলা হচ্ছে মাদকের কথা। আমার ছেলে ধূমপানই করে না, সে মাদক কিনতে কেন সেখানে যাবে।’ এছাড়া ফারদিনের একাধিক সহপাঠী এবং ডেমরার বন্ধুরাও তার মাদক সেবন বা আসক্তির বিষয়টি মেলাতে পারছেন না।

অন্যদিকে ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ফারদিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন সর্বশেষ গাজীপুরে ছিল। আর র‌্যাবের কর্মকর্তা বলেছেন, রূপগঞ্জের চনপাড়ার কথা। তবে ডিবি পুলিশ জানায়, জুড়াইনে সর্বশেষ ফারদিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রেস করা হয়। ফারদিনের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে তিন ধরনের বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও কিছুটা দ্বিধা দেখা দিয়েছে। এই অমিল বক্তব্য নিয়েও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

যে কারণে আলোচনায় চনপাড়া

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, নিখোঁজের পর বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মোবাইল ফোনের লোকেশন কেরানীগঞ্জ, জনসন রোড ও ডেমরার চনপাড়া বস্তি এলাকায় প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেস করা হয়। আর সোর্সের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা জানতে পারে, ওই রাতে চনপাড়া বস্তির একটি মাদকস্পটে এক যুবককে মাদকব্যবসায়ীরা মারধর করে। ওই তথ্য পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনি মনে করে, মাদকব্যবসায়ীরা যে যুবককে পিটিয়েছে, সে ফারদিন। তবে ওই রাতে কাকে মাদকব্যবসায়ীরা পেটায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চনপাড়া এলাকায় এ ধরনের ঘটনা শোনার পর গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা দুই দিন ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে খুনের মোটিভ উদ্ধার হয়নি।

অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার চনপাড়া এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রাসেদুল ইসলাম শাহীন ওরফে সিটি শাহীন (৩৫) নামে যে ‘মাদক কারবারি’ নিহত হয়েছে, ফারদিন হত্যার সঙ্গে সিটি শাহীনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বুয়েট সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর হত্যাকাণ্ডে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বুয়েট সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজ থেকে সেটি আপলোড করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে নিয়ে এবং তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে কিছু ভুল এবং বানোয়াট সংবাদ প্রচার হচ্ছে। এসব বিভ্রান্ত তথ্য না ছড়ানোর জন্য তারা অনুরোধ করেছেন।

ফারদিনের সহপাঠীদের বরাত দিয়ে তারা লিখেছেন, ফারদিনকে তারা কেউই কখনো মাদক নিতে দেখেননি। উপরন্তু ফারদিন সিগারেটের ধোঁয়াতেও বিরক্তি প্রকাশ করতেন। ফারদিন কোনোভাবেই মাদকসেবী না।

গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক। তিনি পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। লাশ উদ্ধারের ঘটনার তিনদিন পর নিহতের বাবা রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় নিহতের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরদিন পুলিশ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। আর মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুশরা বর্তমানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

মজুত ফুরালেই বাড়তি দামে বিক্রি হবে সয়াবিন তেল

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

রং মাখানো তুলি কাগজ ছুঁলেই হয়ে উঠছে একেকটা তিমিরবিনাশি গল্প

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :