তাড়াশে তিন কিলোমিটার সড়ক বেহাল, চরম ভোগান্তি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সড়ক পাকা না করায় ৩ কিলোমিটার সড়কে চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে তৈরি হয়েছে ছোট ডোবা।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া দক্ষিণপাড়া মোড় থেকে হাসানপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কের চিত্র এটি। সড়কের বেহালদশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশেপাশের ৫/৬টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া-হাসানপুর সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। সড়কটি দিয়ে নওগাঁ হাট, প্রতাপ বাজার, ভাটড়া, বিনোদভাটরাসহ ৫/৬ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহালদশার কারণে স্থানীয়রা প্রায় ৬/৭ কিলোমিটার ঘুরে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। একদিকে যেমন সময় লাগছে বেশি,অপরদিকে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। পাশাপাশি অসুস্থ রোগীকেও হাসপাতালে নিতে বেগ পোহাতে হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্থানীয়দের সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাচল ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সড়কজুড়ে কাঁদা একাকার থাকায় যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনেক বছর আগে গ্রামীণ রাস্তায় মাটি ভরাট করা হয়েছিল। এরপর উপজেলা এলজিইডি অফিস ওই রাস্তা পাকাকরণের কথা থাকলেও এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে এলাকার হাজারো মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া গ্রামের বাসিন্দা মফিদুল ইসলাম নান্নু বলেন, কৃষকরা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে এবং উৎপাদিত শস্য এ সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে বিক্রির জন্য আনা নেওয়া করেন। সড়কটি পাকা করা হলে এলাকার মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাগব হবে। জনসাধারণের যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ সড়ক। সড়কটি পাকা করা অত্যন্ত জরুরি।
তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইফতেখার সারোয়ার ধ্রুব জানান, সড়কটির পাকাকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস হলে সড়কটি দ্রুত পাকা করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/এলএ/এসএ)