বাইকাররা অনেকেই চাকরিজীবী, কারণ কী জানেন?

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪৭ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:০৯

আকিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস

যানজটে নাকাল শহরের নাম ঢাকা। রাজধানী শহরটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়। যানজট থেকে একটু মুক্তি পেতে নগরবাসীর প্রথম পছন্দ এখন বাইক। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা, কর্মচারীদের চলাচলে প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে বাইক। নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌঁছাতে অনেকে বাইক শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। আবার, যারা কম বেতনের চাকুরে তাদের সংসার চালানোর অন্যতম আয়ের উৎসও রাইড শেয়ারিং।

সরজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাইক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাড়তি আয়ে সরকারি, বেসরকারি নিম্নপদের চাকুরেরা বাইক রাইড করে সংসার চালান।  

বাসাবো বাসস্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন বাইক চালক কামরুল। দর কষাকষি সেরে চেপে বসলাম বাইকের পেছন সিটে। চলতে চলতে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানালেন তার অসহায়ত্বের কথা। বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করি। বেতনের টাকা বাসা ভাড়ায় চলে যায়। খাব কী? ধারদেনা বেড়েই চলছে। কিছু সঞ্চয় করেছিলাম। একমাস হলো এই বাইকটা নিয়েছি। অফিস ছুটির পরে বাইক চালাই। তাতে যা আয় হয় চলছে মোটামুটি। সকল জিনিসেরপত্রের যে দাম বেঁচে থাকাই দায়!

বাংলামোটর স্টপে দাড়িয়ে থাকা নুর নবীর সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের এ প্রতিবেদকের। তিনি পুলিশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চাকরি করেন। পাঁচ সদস্যর পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ঢাকার ভাড়ার বাসায়। যা বেতন পান পরিবার চালাতে হিমশিম খান প্রতিনিয়ত। ঘরে বৃদ্ধ অসুস্থ মা রয়েছে। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে বাড়তি আয়ের জন্য চাকরির পাশাপাশি বাইক রাইড করেন তিনি।

রাজধানীর তোপখানায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রুবেল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমসের এই প্রতিবেদকের। টগবগে সুদর্শন এক যুবক রুবেল। সদ্য সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। পরিবারিক অবস্থায় ভালো না থাকায় চাকরির জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি বাইক রাইড করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এআর/এফএ)