কর্মীদের গণহারে পদত্যাগ, অফিস বন্ধ করল টুইটার
অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারসহ কর্মীদের গণহারে চাকরি ছাড়ার মধ্যেই নিজেদের সব কার্যালয় বন্ধ করল টুইটার কর্তৃপক্ষ। অফিস বন্ধের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানায়নি টুইটার। তবে ধারণা করা হচ্ছে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেয়ায় বিপাকে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানিটি।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
কর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আগামী ২১ নভেম্বর পুনরায় অফিস খুলে দেওয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সবার অফিস ব্যাজ অকার্যকর থাকবে। অর্থাৎ, তারা অফিসে বা টুইটারের ইন্টারনাল নেটওয়ার্ক সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।’
এতে আরও বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও কোম্পানির তথ্য নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং কোম্পানির নীতি মেনে চলুন’।
গত ২৭ অক্টোবর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন টেসলা ও স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
এরপর তিনি নিজেই টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি অর্ধেক কর্মীকে ইতোমধ্যে তিনি ছাঁটাই করেছেন। এরইমধ্যে টুইটার ছেড়েছেনও শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার নতুন মালিক ইলন মাস্ক শর্ত দেন— দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে, নয়ত চাকরি ছাড়তে হবে। এ শর্ত মেনে নেওয়ার সময় বেধে দিয়ে একটি কাগজেও স্বাক্ষর করতে বলেন তিনি। তবে তার এ শর্ত বেশিরভাগ কর্মী প্রত্যাখ্যান করেন এবং গণহারে পদত্যাগ শুরু করেন। চাকরি ছাড়ার তালিকায় আছেন অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ার। যারা টুইটারের বাগ ঠিক করা এবং সেবা চালু রাখার কাজটি করে থাকেন। তারা চাকরি ছাড়ার পরই টুইটারের সেবা হুমকির মুখে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে সংকট সর্বোচ্চ আকারে পৌঁছায়। এরপরই টুইটার সাময়িক সময়ের জন্য তাদের অফিস বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোম্পানিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন। ‘রিপ টুইটার’, ‘টুইটার ডাউন’ এমন হ্যাশট্যাগে ভরে যায় সামাজিক মাধ্যমটি।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এমএইচ/ইএস)