ইরানের তেল রপ্তানিতে সহায়তা, ১৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৪৮

ইরানের তেল রপ্তানিতে সহায়তা করায় ইরান, চীন, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ১৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পূর্ব এশিয়ার ক্রেতাদের কাছে ইরানের পেট্রোকেমিক্যাল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রির সুবিধা প্রদানের অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দপ্তর গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পার্সিয়ান গালফ পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি, ট্রিলিয়ান্স পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি এবং নাফতিরান ইন্টারট্রেড কোম্পানিকে তাদের তেল ও তেলজাত পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছে ওই ১৩টি কোম্পানি।

ট্রেজারির আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্রায়ান নেলসন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের পদক্ষেপটি আরও দেখায় যে ইরান পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যগুলি অবৈধভাবে বিক্রি করার জন্য নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়ার জটিল পদ্ধতি ব্যবহার করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিক্রির সুবিধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে থাকবে।’

ইরানের এই চার প্রতিষ্ঠানের ওপর বহু আগেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। এমনকি কোনো বিদেশি কোম্পানি এগুলোকে সহযোগিতা করলে তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে বলে সতর্কতাও করেছিল।

এছাড়াও লক্ষ্যবস্তুদের মধ্যে ছিল দুবাই-ভিত্তিক অ্যাক্সেস টেকনোলজি ট্রেডিং এলএলসি, যেটিকে ট্রেজারি চীনে চালানের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞাভুক্ত পারস্য উপসাগরীয় পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কমার্শিয়াল কোম্পানি থেকে পেট্রোকেমিক্যাল কেনার অভিযোগ এনেছিল।

চীন ভিত্তিক ইস্ট এশিয়া ট্রেডিং ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ট্রেড কোং লিমিটেডও এই তালিকায় রয়েছে। ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি এবং এর বিপণন শাখার জন্য একটি বিদেশী গ্রাহকের কাছে পেট্রোলিয়ামের চালানের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন।

ইরানের তেল চোরাচালানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পদক্ষেপটি এসেছে যখন ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা স্থগিত হয়ে গেছে এবং ইরানিরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কারণে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও পশ্চিমের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হচ্ছে।

এই নিয়ে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত ইরানের জ্বালানি খাত লক্ষ্য করে পঞ্চম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে নতজানু করার লক্ষ্যে দেশটির বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেন।

সেই নীতির ভিত্তিতে ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বের করে নেন যুক্তরাষ্ট্রকে এবং তেহরানের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেও বাস্তবের এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।

পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাওয়ায় ওয়াশিংটন ইরানের পেট্রোকেমিক্যাল রপ্তানির বিষয়ে চীনা কোম্পানিগুলোকে ক্রমবর্ধমানভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/ এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :