আদালত থেকে জঙ্গি পালানোর ঘটনায় মামলা হবে: পিপি আবদুল্লাহ

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৫:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালত প্রাঙ্গন থেকে পালানোর ঘটনায় মামলা হবে।

 

রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু একথা বলেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার সময় দুই জঙ্গি পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে পালিয়ে যায়।

তারা হলেন—মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ। দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।

ঘটনার পর পিপি আব্দুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘চার জঙ্গি মোটরসাইকেলে করে এসে দুই জঙ্গিকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই জঙ্গিকে অন্য মামলার শুনানিতে হাজির করতে কাশিমপুর কারাগার থেকে পুরান ঢাকায় আদালতে আনা হয়েছিল। সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে নেওয়ার সময় তারা পুলিশের চোখে স্প্রে জাতীয় কিছু মেরে পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাতক দুই আসামির খোঁজে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গির ফাঁসির রায় দেয় আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিরা হলেন—বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।

আট আসামির সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাদের মধ্যে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/ডিএম)