আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির দেড় বছর করে কারাদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফের আলোচিত আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারিকে মাদক মামলায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলা থেকে তারা খালাস পেয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ১৭ আসামি। বাকি ৮৪ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফরিদুল আলম ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদুল আলম জানান, ১০১ জনের প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।

আদালতের বরাতে পিপি বলেন, আদালত অবজারভেশনে বলেছেন যাতে আগামী দিনে কেউ এ পেশায় না ফিরে সে জন্য এ রায় ভূমিকা রাখবে।

আজ সকাল ১১টার দিকে আদালতে আনা হয় কারাগারে থাকা ১৭ আসামিকে। তারপর দুপুর সাড়ে ১২টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেওয়ার খবরে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। মামলা চলাকালে সোহেল নামে এক আসামি কারাগারে মারা যান। আত্মসমর্পণের পর তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০টি দেশীয় তৈরি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে তৎকালীন ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা বাদী হয়ে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষা ফলাফল যাচাই, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াসহ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/এআর/ইএস)