বাধ্যতামূলক অবসরে উপসচিব রেজাউল

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫:০৫ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। তার বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শেষে প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

গত সোমবার (২১ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও আজ বুধবার বিষয়টি জানা গেছে।

সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০' এর ৯(১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা হয়। তিনি বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে 'সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮' এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর অভিযোগে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়।

এতে আরও বলা হয়, উপসচিবের দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগ তদন্তে করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী রেজাউল করিমকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

পরবর্তীতে রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর শাস্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন এতে একমত পোষণ করে। পরে রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে সম্মতি দেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম গ্রন্থকেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে সাময়িক বরখাস্ত হন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তারও করেছিল হাজারীবাগ থানা পুলিশ।

রেজাউল করিম রতন মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর তিনি উপসচিব হয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/এলএম/ইএস)