সাইবার ক্রাইমকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম বানাচ্ছে অপরাধীরা: সফোস রিপোর্ট

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২২, ২১:৩৮

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

পরবর্তী প্রজন্মের উদ্ভাবন ও সাইবার নিরাপত্তার গ্লোবাল লিডার সফোস আজ তাদের ২০২৩ সালের থ্রেট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে তুলে ধারা হয়েছে, অপরাধীরা কীভাবে সাইবার ক্রাইমকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম বানিয়ে ফেলছে। এমনকি অপরাধীরা তাদের হুমকি এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে র‍্যানসামওয়্যার অপারেটররা তাদের চাঁদাবাজির নতুন কৌশল বের করছে যা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় সাইবার অপরাধের হুমকিগুলোর মধ্যে একটি। সেইসঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের এমন কাজের চাহিদা।

জেনেসিসের মতো অপরাধমূলক আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটপ্লেসগুলো দীর্ঘদিন ধরে ম্যালওয়্যার এবং ম্যালওয়্যার স্থাপনের পরিষেবা (‘ম্যালওয়্যার-অ্যাস-এ-সার্ভিস’) কিনছে, পাশাপাশি চুরি হওয়া ক্রেডেনশিয়াল এবং অন্য সব ডেটা প্রচুর পরিমাণে বিক্রিও করেছে। গত দশকে, র‍্যানসামওয়্যারের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এটি সম্পূর্ণভাবে ‘র‍্যানসামওয়্যার অ্যাস-এ-সার্ভিস’ হিসেবে অর্থনীতিতে আবির্ভূত হয়েছে। ২০২২ সালে এসে এই ‘পরিষেবা হিসাবে’মডেলটি প্রসারিত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে প্রাথমিক সংক্রমণ থেকে শনাক্তকরণ এড়ানোর উপায়গুলোসহ সাইবার ক্রাইম টুলকিটের প্রায় প্রতিটি দিক খুব সহজলভ্য হয়েছে।

‘পরিষেবা হিসাবে’ অর্থনীতির বিস্তৃতির সঙ্গে, আন্ডারগ্রাউন্ড সাইবার অপরাধী বাজারগুলো ক্রমবর্ধমান একটি পণ্য হয়ে উঠছে এবং সেটি মূলধারার ব্যবসার মতোই কাজ করছে৷ সাইবার অপরাধ ‘বিক্রেতারা’ কেবল তাদের পরিষেবার বিজ্ঞাপনই দিচ্ছে না বরং স্বতন্ত্র দক্ষের আক্রমণকারীদের চাকরিতে নিয়োগের অফারও করছে৷ সাইবার ক্রাইম অবকাঠামো যেমন বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি করে র‍্যানসামওয়্যার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও লাভজনক হয়ে উঠেছে।

গত এক বছর, র‍্যানসমওয়্যার অপারেটররা উইন্ডোজ ছাড়া অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোকে লক্ষ্য করে তাদের সম্ভাব্য আক্রমণ পরিষেবা বাড়াতে কাজ করছে। এমনকি এসব ক্ষেত্রে তাদের যেন শনাক্ত করা না যায় সে জন্য রাস্ট এবং গো-এর মতো নতুন ভাষাগুলোর সঙ্গে এটি মানিয়ে নেয়া শুরু করেছে। কিছু গ্রুপ, বিশেষ করে লকবিট ৩.০ তাদের ক্রিয়াকলাপগুলোকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের চাঁদাবাজির জন্য আরও ‘উদ্ভাবনী’ উপায় তৈরি করছে।

আন্ডারগ্রাউন্ডের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি শুধুমাত্র র‍্যানসমওয়্যার এবং ‘পরিষেবা হিসাবে’ এটি শিল্পের বৃদ্ধিকেই উৎসাহিত করেনি, বরং ক্রেডেনশিয়াল চুরির চাহিদাও বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন বা অনভিজ্ঞ অপরাধীদের আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাক্সেস পেতে এবং তাদের ‘ক্যারিয়ার’ শুরু করতে ক্রেডেনশিয়াল চুরি একটি অন্যতম সহজ উপায় হয়ে গেছে।

ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ইএস