সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে এক বছরের জামিন

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১২:০১ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১২:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের দ্বৈত বেঞ্চ থেকে জামিন দেওয়া হয়। তার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম মাহবুবুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুটি ধারায় মোয়াজ্জেমকে মোট আট বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুটি ধারায় আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

রায়ে ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আই‌নের ২৬ ধারায় মোয়া‌জ্জেম‌কে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ২৯ ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদা‌য়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া আই‌নের ৩১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোয়াজ্জেমকে খালাস দেওয়া হয়।

নুসরাত জাহানকে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তার মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ১০ এপ্রিল সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর ১০ দিন আগে নুসরাত মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ আনা হয় মামলায়। মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
 
পরে ওই বছরের ১৭ জুলাই মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর রায় দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। রায়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট হাইকোর্ট তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পরে তিনি সেই আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।  

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মাদরাসার বরখাস্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।  

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এআর)