জঙ্গি ছিনিয়ে নিতে টাকা নিয়ে আসেন মেহেদী: সিটিটিসি

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০৬ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি মোটা অংকের টাকা এনেছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় জঙ্গিরা সেই টাকা নিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান ঘটনার দিন আদালতে আসেন মোটা অংকের টাকা নিয়ে। তিনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন ছিনিয়ে নেয়ার পর জঙ্গিদের হাতে টাকা দেবেন।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। আর দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন এই মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি।’

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গি ছিনতাইয়েন ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেহেদী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সঙ্গে সমন্বয়ের পর সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করেন।’

তাদের মধ্যে ছিনতাইকৃত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং মামলার এজাহার নামীয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন যার সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন গ্রেপ্তার মেহেদী।

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার মেহেদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিদেরকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। মেহেদী আদালতে জঙ্গি আসামিদের বিচারাধীন মামলায় নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং তাদেরকে সংগঠনের পরিকল্পনার কথা জানাতেন। সংগঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার মেহেদী ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিদের ছিনতাইয়ের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে পলায়নে সহযোগিতা করেন।’

কে এই মেহেদী: গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালে মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর এবং বাড্ডা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা হয়। এছাড়াও ২০১০ এবং ২০১২ সালে সিলেট কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর দুপুরে পুরান ঢাকার আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) নেতা মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা।

তাদের দুজনকেই কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে আনা হয়েছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এসএস/এফএ)