প্রেমের বিয়ে পরিবার মেনে না নেওয়ায় নবদম্পতির ‘আত্মহত্যা’

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৪:০৩ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৪:১০

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
তাদের বুকে ও হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল- ‘আমি মুক্তা ও রুজিব। আমরা চলে যাচ্ছি। আমাদের মৃত্যুর জন্য পরিবার দায়ী।’ ছবি: ঢাকাটাইমস

দুই মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ঝিনাইদহের রমজান হোসেন রুজিব (২০) ও মুক্তা খাতুন (১৮)। কিন্তু বিয়ে মেনে নেয়নি দুই পরিবার। তাই বাড়ি ছেড়ে সংসার করছিলেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার  মুক্তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তার বাবার বাড়ির লোকজন। কিন্তু তার আগে গলায় একই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তারা। এর আগে বুকে ও হাতে মেহেদি দিয়ে লিখে মৃত্যুর জন্য পরিবারকে দায়ী করেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঝিনাইদহের হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রমজান হোসেন রুজিব জেলা সদরের তালতলা হরিপুর গ্রামের চমু শেখের ছেলে। অন্যদিকে মুক্তা খাতুন (১৮) হরিনাকুন্ডু উপজেলার বিন্নি গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে। রমজান হোসেন জেলা শহরের হামদহ এলাকার একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করতেন।

নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাতের খাবার খেয়ে এক সঙ্গে বসে অনেক গল্প হাসি ঠাট্টা করে যার যার রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে খবর পাই তারা দুজন মাঠের একটি মেহগনি গাছের ডালে একই ওড়নায় ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’

মুক্তা খাতুনের ফুপু পরিচয় দেওয়া এক নারী বলেন, ‘আজ আমাদের মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন তারা আজ এ কাজ করল জানি না।’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠে রুজিব ও মুক্তা খাতুনের মরদেহ গাছে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তাদের বুকে ও হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল-‘আমি মুক্তা ও রুজিব। আমরা চলে যাচ্ছি। আমাদের মৃত্যুর জন্য পরিবার দায়ী।’

হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বিল্লাল হোসেন জানান, গাছের সঙ্গে মেয়ের ওড়না দিয়ে স্বামী ও স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি বলে তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। মেয়েটি তার বা হাতে মেহেদি দিয়ে লিখেছে, সব মায়ের দোষ, সবাই মুক্ত আমরা চলে যাচ্ছি।

 

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এআর)