আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে সাড়া নেই, শেষবারের মতো চিঠি দিল ইসি

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৭:২৩ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মূল আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবে সরকারের সাড়া পাওয়ার প্রত্যাশায় শেষবারের মতো চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবর রবিবার চিঠিটি পাঠানো হয়।

সরকার এতে সাড়া দেবে বলে প্রত্যাশা প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের। একই দিন নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেহেতু আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। আশা করছি ওই সময়ের মধ্যে তারা একটা রেসপন্স নিশ্চয় করবেন। সরকারের বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকে, যার ফলেই দেরি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যস্ততার কারণে হয়তো তারা সময় করে ওঠতে পারেননি।

এর আগে আরপিও সংশোধনীর জন্য দুইবার চিঠি দিয়েছে ইসি। কিন্তু তিন মাসের বেশি সময়ে এ বিষয়ে ইসিকে কিছু জানায়নি আইন মন্ত্রণালয়। ফলে আজ শেষবারের মতো দেয়া হয়েছে বলে জানালেন সিইসি। চিঠিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সাড়া দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সরকারকে শেষ বারের মতো চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সাবেক আইনসচিব বলেন, অনন্তকাল ধরে একটা মেটার নিয়ে বসে থাকতে পারব। আমরা বিষয়টা শেষ করে দিতে চাই। এটা যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমরা অন্য কাজে মনযোগ দেব। আমরা এই চিঠির পর আর রিকোয়েস্ট করব না।

চিঠির জবাব যদি না আসে কিংবা আইনি সংস্কারও না হয় সেক্ষেত্রে ভোট কেমন হবে- জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বেঁধে দেওয়া সময়সীমার পর আমাদের কী করতে হবে সে বিষয়ে কমিশন বৈঠকে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব। বিষয়টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তখন আমরা সেটা বিবেচনা করে দেখব।

আরপিও গুরুত্বপূর্ণ বলেই তো সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সবকিছুই যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা ঠিক তা নয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই আছে যা সব সময় অ্যাড্রেস হবে তা তো না। সরকারেরও একটা নিশ্চয় যুক্তি আছে বা যুক্তি থাকবে। আরপিও সংশোধনে আমাদের প্রত্যাশার বিপরীতে সরকারেরও যুক্তি থাকতে পারে। এটা অলরেডি অ্যাড্রেস আছে কোথাও। আমরা চেয়েছিলাম যে, সরকারের রেসপন্স কী? তাদেরও এই আইনটা নিয়ে একটা যুক্তি থাকতে পারে, কারণ অথরিটি তারা। অথরিটি সরকার ও পার্লামেন্ট। তারা যদি মনে করেন পর্যাপ্ত আইন রয়ে গেছে। এ বিষয়ে করার কিছু নেই, এইটুকু আমাদের জানিয়ে দিলেও আমরা সেটা বিবেচনা করতে পারতাম।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এসএন/ইএস)