সারাদেশে হঠাৎ নৌ-ধর্মঘটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি, বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২২, ১৯:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটে লঞ্চশূন্য রাজধানীর সদরঘাট

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার মধ্যরাত  থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ নৌধর্মঘটে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে থেমে আছে পণ্য খালাসের কাজ। পূর্বঘোষণা না থাকায় বিভিন্ন লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না গন্তব্যে যাওয়ার লঞ্চ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো: নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনি¤œ মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০% কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজধানী

রবিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ বন্দর সদরঘাটে ঘুরে দেখা যায়, বৃহত্তম এ বন্দরটি লঞ্চ শূন্য হয়ে আছে। দুই শতাধিক লঞ্চের মধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন নৌপথে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ টি লঞ্চ চলাচল করলেও এদিন প্লাটুনে কোন লঞ্চের দেখা মেলেনি। নৌ শ্রমিকরা লঞ্চ গুলো নিয়ে মাঝ নদীতে সারিসারি রেখে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, নৌ শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সদরঘাট থেকে দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াতকারী বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ধর্মঘটের খবর না জানায় প্রতিদিনের মতো অনেক যাত্রীরা আসেন সদরঘাটে। লঞ্চ ধর্মঘটের খবর শুনে কেউ ফিরে যান আবার কেউ অপেক্ষা করতে থাকেন লঞ্চ চলার অপেক্ষায়। এমনই একজন যাত্রী বকুল হোসেন। চাঁদপুর যাবার উদ্দেশ্যে সকালে সদরঘাটে আসেন তিনি। পরে জানতে পারেন লঞ্চ শ্রমিকদের ধর্মঘট। বাধ্য হয়ে সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'বাসে চলাচল করতে অসুবিধা হয় তাই লঞ্চে চলাচল করি। ধর্মঘটের খবর আগে জানা ছিলো না তাই বাধ্য হয়ে বাসেই যেতে হবে'। অপর আরেক যাত্রী রেশমা বেগম। খুব সকালে দুই মেয়েসহ সদরঘাটে এসে দেখেন ঘাটে কোন লঞ্চ নেই। দুই মেয়েকে নিয়ে ফিরে যান তিনি। তিনি বলেন,'সকাল সকাল বিপদে পড়লাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠে এসেছি লঞ্চ ধরার জন্য, এসে দেখি লঞ্চ নাই'।লঞ্চ বন্ধ থাকায় বকুল ও রেশমার  মতো অনেকে এদিন সকালে সদরঘাটে এসে নিরুপায় হয়ে ফিরে যান।

নৌ শ্রমিকদের দশ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানান নৌ- যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা অনেক দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু তাতে কতৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করছে না। একের পর এক আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোন বাস্তবায়ন নেই। শ্রমিকদের দাবিগুলো না মানা হলে ধর্মঘট চলবে।

এদিকে, কেরানীগঞ্জে ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন নৌ শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। ধর্মঘটের কারণে রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে রবিববার সকাল থেকে চাদপুর, ভোলা ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। জরুরি কাজে ঢাকা শহরে আসা লোকজন সকাল থেকেই বিভিন্ন অসুস্থ রোগীসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে দীর্ঘ সময় ধরে লঞ্চের অপেক্ষায় বসে আছে। যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোংগর করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ও বালুবাহী বাল্কহেডসহ সব ধরনের নৌযান। নৌ ধর্মঘটকে পুঁজি করে একশেণির অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ীরা কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপে করে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রী পরিবহন করছে। এতে করে দুর্ঘটনা আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বলেন, মজুরি পুনঃনির্ধারণ, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ন্যূনতম ১০ লাখ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মধ্যরাত থেকে সারাদেশে তাদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের জুন মাসে নতুন মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও দেড় বছরে তা হয়নি। আমরা আমাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করলেও কিছু না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গিয়েছি। শাহ আলম বলেন, তেলের দামের বৃদ্ধির সঙ্গে নৌযানের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের এখন কোণঠাসা অবস্থা। তাদেরও তো বাঁচতে হবে। নৌযান শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট বা কর্ম বিরতি অব্যাহত থাকবে।

চট্টগ্রাম   

নৌধর্মঘটের কারণে রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর ও কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা বিভিন্ন লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাসের কাজে শ্রমিকরা যোগ দেননি। বন্দরে বহির্নোঙ্গরে ২২টি বড় জাহাজে পণ্য খালাসে কার্যক্রম চলছিল, তবে কর্মবিরতির কারণে লাইটারেজ শ্রমিকরা কাজে যায়নি।

শনিবার মধ্যরাত থেকে ‘নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের’ ব্যানারে সারাদেশে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ধর্মঘটের ফলে সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোও ছেড়ে যায়নি। সকাল ১০টা পর্যন্ত চাঁদপুর ও ভোলার ইলিশা রুটে দশটির মতো লঞ্চ ছাড়ার কথা থাকলেও কর্মবিরতির কারণে সেগুলো ছাড়েনি।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বলেন, মজুরি পুনঃনির্ধারণ, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ন্যূনতম ১০ লাখ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মধ্যরাত থেকে সারাদেশে তাদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের জুন মাসে নতুন মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও দেড় বছরে তা হয়নি। আমরা আমাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করলেও কিছু না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গিয়েছি।

শাহ আলম বলেন, তেলের দামের বৃদ্ধির সঙ্গে নৌযানের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের এখন কোণঠাসা অবস্থা। তাদেরও তো বাঁচতে হবে।

বরিশাল

বরিশালে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিকরা।

ফলে রবিবার সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিনাঞ্চলের সকল নদী বন্দর ও লঞ্চঘাট থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। আর এতে করে বিপাকে পড়েছেন নৌ-যাত্রীরা।

রবিবার সকালে অনেক যাত্রীই ঘাটে এসে লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

লঞ্চ যাত্রী মামুন খান বলেন, পাতারহাট যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে এসেছি, কিন্তু লঞ্চ চলাচল তো বন্ধ। এখন অপেক্ষা করছি। যদি দুপুরের মধ্যে না ছাড়ে তা হলে ভেঙে ভেঙে ট্রলারে করে যেতে হবে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।

এদিকে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম জানান, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে এই কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। ফলে গেলো রাত ১২টা থেকে সারাদেশের সাথে বরিশাল বিভাগে সবধরনের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতির এই আন্দোলন লাগাতার চলবে।

চাঁদপুর

নৌযান শ্রমিকদের সর্বনি¤œ মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে হঠাৎ দেওয়া ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছেন চাঁদপুরের লঞ্চ যাত্রীরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কিংবা সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং না করায় এ ধর্মঘটে ঘাটে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

রবিবার সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, শনিবার দিনগত রাত ১২টার পর পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে সিডিউলের সবগুলো লঞ্চ ছেড়েগেছে। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের মধ্যে সুরাহা হলে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।

বেলা দেড়টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে কোন লঞ্চ পাওয়া যায়নি। পুরো লঞ্চঘাট পাকা। যাত্রীবহনকারী কিছু অটোরিকশা ঘাটে অবস্থান করতে দেখা যায়। যেসব যাত্রী শ্রকিক ধর্মঘটের বিষয়ে জানেন না, তারা এসে ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন।

লঞ্চ শ্রমিক আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের যে দাবিদাওয়ার ছিল, ২০২২ সাল চলে যাচ্ছে কিন্তু মালিকপক্ষ ও শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।

ফরিদগঞ্জ থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে আসা যাত্রী ফিরোজা বেগম জানান, লঞ্চ ধর্মঘটের বিষয়ে জানি না। যে কারণে বাড়ি থেকে ৩০০ টাকা অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে এসেছি। সড়ক পথে এখন সন্তানদের নিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়।

শহরের ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম তার ছেলেকে নিয়ে যাবেন ঢাকা। দুপুরের লঞ্চে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে এসে দেখেন কোনো লঞ্চ ঘাটে নেই। অপেক্ষা করে চলে যান। তিনি বলেন- শহরে থেকেও লঞ্চ ধর্মঘটের কথা জানতে পারিনি।

সদরের ইচলী থেকে আসা যাত্রী ইব্রাহীম ও রিয়াজ উদ্দিন জানান, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বার বার লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে, তার দায়ভারও যাত্রীদের নিতে হয়েছে। এখন লঞ্চ শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। তার দায়ভার কি আমাদের নিতে হবে! আমরা দূর-দূরান্ত থেকে লঞ্চঘাটে এসেছি, এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। আমরা যে দুর্ভোগে পড়েছি তার দায়ভার নেবে কে? আশা করি সরকারের হস্তক্ষেপে মালিক তাদের দাবি দাওয়া পূরণ করে দ্রæত লঞ্চ চলাচল শুরু করবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এআর)