নোয়াখালীতে ইটভাটা আইন সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২২, ২১:০৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন-২০১৯ এ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র লাইসেন্সপ্রাপ্তির দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন পালন করেছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখা। একইসাথে বর্তমানে কয়লা সংকটের সমাধান চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন আন্দোলনকারীরা।

রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি নোয়াখালী শাখার সভাপতি মো. ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক কে এম আফতাব উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মো. ইকরাম উল্লাহ (ডিপটি)-সহ বিভিন্ন ইটভাটার মালিকরা। এছাড়াও কর্মসূচিতে প্রায় অর্ধশত মালিক কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রস্তুাব উপেক্ষা করে আবারও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ জারি করা হয়। ফলে ইটভাটার মালিকরা পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে ভাটা স্থাপন শুরু করেন। বিশেষ স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোনো স্থান ও গ্রামীণ সড়ক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে- এ ধারার কারণে জিগজ্যাগ ভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।

বক্তারা আরও বলেন, ইটভাটা থেকে সরকার কোটি টাকা ভ্যাট ও কোটি টাকার রাজস্ব পায়। লাখ লাখ শ্রমিক এসব ভাটায় কর্মরত আছেন। উন্নয়নের জন্য ইটের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এ আইন দ্রুত সংশোধনের দাবি জানান তারা। একই সাথে ইট ভাটায় পোড়ানোর জন্য প্রধান উপাদান কয়লা, যাহা সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর, প্রতিটন কয়লা আমদানিতে কয়লার মূল্য, ট্যাক্স, ভ্যাটসহ সর্বাধিক ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু অতি মুনাফা লোভী আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে তার ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এলএ)