কোন ডায়াবেটিস বেশি ভয়ানক? টাইপ-১ নাকি ২

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫৭ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১১:২৪

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, মানুষের সাধারণত দুই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। টাইপ-১ আর টাইপ-২। এর মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এর ফলে মানুষের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ইনসুলিন না তৈরি হলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগও বলা হয়। কারণ এই রোগ নিজে থেকেই হয়।

অন্যদিকে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু মানুষের শরীর ঠিক মতো ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়াতে লাগাম টানলে অনেকটাই ভালো থাকা যায়।

অর্থাৎ দুই ধরনের ডায়াবেটিসই মানুষের জন্য ভীতিকর। অনেকে মনে করেন, কেবল চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিনি নয় বরং জীবনযাত্রার অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় এই রোগের আশঙ্কা।

তাই চিনি কম খেয়ে বা না খেয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব নয়। আবার বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন, অতিরিক্ত চিনি এই রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

সাধারণ মানুষের পক্ষে আলাদা করে রোগ চেনা সম্ভব নয়। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই যে ডায়াবেটিস হয়, সেটা টাইপ-২। যা হয় মূলত আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে। বংশগতভাবেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তাই যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও প্রতি বছর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। কিন্তু এই তিন দশকে ছবিটি আশঙ্কাজনকভাবে বদলে গেছে। এখন অল্প বয়সীরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে সতর্ক হতে হবে সবার।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এজে)