দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পিবিআইয়ের সুপারিশ
প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২২, ২০:৩২
আওয়ামী লীগ নেতা ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত থাকা নিয়ে পুলিশের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্যদিকে, গাইবান্ধা শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী খান মো. সাইদ হোসেন জসিম ও তার তিন ভাইকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশও করেছে পিবিআই।
সোমবার বিকালে পিবিআইয়ের এক পত্র সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা পৌরসভার সুষ্ঠু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে শহরের কুঠিপাড়া ও সরকার পাড়ায় সহিংস ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন গাইবান্ধা সদর থানায় পৃথক ৩টি মামলা হয়। শহরের সরকারপাড়ার ঘটনায় মামলার তদন্ত করেন সদর থানার এসআই (বর্তমানে সাদুল্যাপুর থানায় কর্মরত) সাহাদত হোসেন ও কুঠিপাড়ার ২টি মামলার তদন্ত করে এসআই নয়ন কুমার সাহা। এজাহারে নাম না থাকলেও পরবর্তীতে সামাজিকভাবে হেয় ও ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন করতে খান মো. সাইদ হোসেন জসিম, তার সহোদর ভাই মো. সোহেল খান, মো. রুবেল খান ও শাহীন খানকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় খান মো. সাইদ হোসেন জসিম গত ১৬ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই নয়ন কুমার সাহা ও এসআই সাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে ঘটনা তদন্তের জন্য গাইবান্ধা পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়। পিবিআই’র পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ তদন্ত করে সম্প্রতি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খান মো. সাইদ হোসেন জসিম ও তার ৩ ভাই সহিংস ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এতদসত্ত্বেও একই তারিখ, একই সময় এবং একই ঘটনাস্থলের উপর ভিত্তি করে কুঠিপাড়ার ঘটনায় দায়েরকৃত ২টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় (গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা নং ২৪) আসামি করে তাদের ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ববিরোধী বিষয় উপস্থাপন করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই পুলিশ সুপার আলিফ আরো উল্লেখ করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই নয়ন কুমার সাহা অপেশাদার আচরণ ও দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বর্তমানে সাদুল্যাপুর থানায় কর্মরত অভিযুক্ত এসআই সাহাদত হোসেন ও গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত নয়ন কুমার সাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এলএ)