‘জাত গোখরা’কে ঠেকাতে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি, মিঠুনকে সায়নী

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১১:২২ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১১:৩৭

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সিনেমার মতো বাস্তবেও নিজেকে জাত গোখরা বলে পরিচয় দেন ভারতীয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। গত বছরের মার্চে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেছেনও। সেই মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে এবার তৃণমূল নেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বললেন, জাত গোখরাকে ঠেকাতে তাদের কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি রয়েছে।

বিজ্ঞান বলে, কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়ায়। সে কারণেই বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর নাম না করে সোমবার তাকে ওই হুঁশিয়ারি দিলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। যদিও বিজেপির দাবি, গত বিধানসভা ভোটের ফলের পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বদলে গেছে। তার প্রভাব দেখা যাবে পঞ্চায়েতের ভোটবাক্সে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের ঝাঁঝরায় শনিবার বিজেপির জনসভা ছিল। সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মিঠুনসহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই ছিলেন। নিজের ভাষণে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মিঠুন। অভিনেতার দাবি, ‘অবাধ নির্বাচন হলে শুধু পঞ্চায়েত নয়, জোর গলায় বলছি, কালকে বিজেপি সরকার গড়বে।’

সোমবার সেখানেই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। মিঠুনের নাম না করে সায়নী বলেন, ‘সমস্ত রকম জাত গোখরাদের জন্য বাংলার ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি রয়েছে।’ মিঠুনকে আক্রমণ করে সায়নী বলেন, ‘এক সময় নকশাল ছিল। পরে জ্যোতি বসুকে ‘কাকু’ বলে বামেদের দলে গিয়েছিল। এরপর মমতা ব্যানার্জীকে ‘বোন’ বলেছিল। এখন দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ‘বাবা’ বলছে।’

মিঠুনের পাশাপাশি সুকান্ত তথা পদ্মশিবিরকেও নিশানা করেন সায়নী। তার কথায়, ‘আগে ২ কোটি চাকরি দিক। ১৫ লাখ টাকা করে অ্যাকাউন্টে দিক। তারপর লক্ষ্মীর ভান্ডারে ২ হাজার টাকা দেবে।’ তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা দেয়। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় গেলে ওই প্রকল্পে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি দাবি করেন সুকান্ত।

রাজ্যের মানুষের সমর্থন যে তাদের সঙ্গে রয়েছে, সে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের ২ মে-র পর থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। বাড়ি ভাঙচুর করেছে, যারা কারখানায় চাকরি করতেন, তাদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে, মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দিয়েছে।’

কৃষ্ণেন্দু হুঁশিয়ারি দেন, ‘আজ কিন্তু আর সেই পরিস্থিতি নেই। সন্ত্রাসের মোকাবিলা করার মতো জায়গায় রয়েছে বিজেপি। আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি সার্ভে করছেন। তাতে উঠে এসেছে, রাজ্যের মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। এর অনেকটাই প্রমাণ দেবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট।’

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এজে)