কৃষি জমি কেটে রাস্তা তৈরি, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৬:২৬

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা এলাকায় একটি বাড়ির লোকজনের যাতায়াতের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ছের খাঁনের ১.৫৩ একর কৃষি জমি বিনষ্ট করে জোরপূর্বক মাটিকেটে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনায় জড়িত ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মাহবুবসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ছের খাঁন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বর্তমানে ছের খাঁন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে এলাকার বেশ কয়েকজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহবের ছেলে ছের খাঁনের কৃষি জমিতে গত ২৩ নম্বর এলাকার সংঘবদ্ধ লোকজন রাস্তার নির্মাণ করার জন্য দুটি বেকু মেশিন নিয়ে আসে। কিন্তু তিনি তাদেরকে বাধা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তিনি নিরীহ প্রকৃতির হওয়ার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জোর পূর্বক রাস্তার মাটি কাটেন। মামলার পর আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা তা মানতে রাজিন হননি। মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সালেহ আহাম্মদ বিবাদীদেরকে নোটিশ করেন।

ছের খাঁন জানান, আমরা ৪ ভাই। ৩ ভাই প্রবাসী। এলাকার একটি বাড়ি অর্থাৎ ওই বাড়ি তিন নামে ডাকে- বকাউল, মুন্সী ও ইদাজি বাড়ি। ২৫-৩০ পরিবারের বসবাস। তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য চলাচলের রাস্তা দরকার। এতে আমিও কোনো অমত কিংবা আপত্তি করিনি। কিন্তু আমার কৃষি জমির মাঝখান দিয়ে জোরপূর্বক আঁকাবাঁকা রাস্তা নেয়াটা কোন আইনের মধ্যে পড়ে। আমিত এই জমিতে আর ফসল করতে পারব না। আমার বক্তব্য হচ্ছে জনগণের জন্য রাস্তা কাটা হউক। কিন্তু আমার জমির অধিকাংশ নষ্ট করে কেন রাস্তা তৈরি হবে। যার কারণে আমি আদালতে মামলা করেছি। এখন আমাকে ওই বাড়ির লোকজন দিন ও রাতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ নেই।

তিনি আরো জানান, মামলায় অভিযুক্ত শফিক, মিজান, জসিম ও মাহবুব মেম্বার ছাড়াও মহিলা মেম্বার ফেরদৌসি, আলমগীর, তার ছেলে সুমনসহ তাদের সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা আমার অন্য কৃষি জমিতেও এখন যেতে দেবে না।

বক্তব্যের জন্য ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. মাহবুব এর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, জনগণের প্রয়োজনে রাস্তা কাটা হচ্ছে। রাস্তা তৈরির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনগণের রাস্তায় একজন ব্যক্তি বাধা দিলে রাস্তা করা বন্ধ থাকবে না। যার জমি তিনি অভিযোগ কিংবা মামলা দিতে পারেন। সেটা তার বিষয়। মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যারা আসামি তারা আদালতে গিয়ে এই বিষয়ে জবাব দিবে।

ছের খাঁনের জমির মাঝখান দিয়ে কেন রাস্তা কাটা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান কোনো উত্তর দেননি। সরেজমিন আসেন বলে ফোন কেটে দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এআর)