‘মিনিকেট’ নামে চাল মজুদ রাখায় মিল মালিককে কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮:১০ | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮:২৮

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

‘মিনিকেট’ নামে চাল মজুদ রাখায় মাদারীপুর সদর উপজেলায় ‘বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুড লিমিডেট’ নামে একটি মিল কারখানার মালিককে কারাদণ্ড ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় মিল মালিককে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ‘মিনিকেট চাল’ নেই বলে প্রতিটি মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও কিছু মিল মালিক বিভিন্ন কোম্পানীর নামে ‘মিনিকেট চাল’ বলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এমন অভিযোগে সদর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ‘বিসমিল্লাহ এগ্রো ফুড লিমিডেট’ এ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফৌরদৌসের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিভিন্ন কোম্পানির নামে ৬৩৩ বস্তা চাল ও ৫৭৮টি খালি বস্তায় ‘মিনিকেট’ নাম পাওয়া যায়। 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মিল কারখানার মালিক মো. শাহাদাত হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। 

এসময় জব্দ চাল বাজেয়াপ্ত করে কেন্দুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হান কবীরকে প্রধান করে নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া জব্দ বস্তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহাকরী পরিচালক জান্নাতুল ফৌরদৌস বলেন, ‘মিনিকেট বলতে কোনো চাল নেই। মোটা চাল মেশিন দিয়ে কেটে আর পালিশ করে বাজারে বিক্রি করা হয়। ফলে ভোক্তারা অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চাল ক্রয় করে থাকেন। 

অভিযানে ৬৩৩ বস্তা চালের বাজার ধরে ১২৫০ টাকা ধরা হয়। যা নিলামে বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। 

(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এসএম)