সোমা মুৎসুদ্দীর তিনটি কবিতা
অনিরুদ্ধের চাদরমাখা
প্রতি রাতে জ্বলন্ত এক ছায়ামূর্তি দেখতে পাই
দেখতে পাই উদ্ভাসিত চোখের উল্লসিত স্বপ্ন
সে চুপচাপ বাংলাদেশের মানচিত্র হয়ে বসে থাকে সামনের চেয়ারে
আমাদের মধ্যে কথা হয় না,
শিল্প বা সাহিত্যের কেওয়াস হয় না
হয় না প্রেম বা বিরহ নিয়ে অযথা খুনসুটি
আমরা শুধু জানি আত্মার প্রণয়ে হয় স্রষ্টার ছুটি
সকাল হলেই তাকে ঘিরে কুয়াশার খেলা
সাথে আমার জন্যে ফেলে যাওয়া অনিরুদ্ধের বিশ বছর আগেকার চাদরের পুরানো গন্ধ।
নির্জনতার এপার ওপার
নির্জনতায় কেটেছে দিন আমার,
তুমি আছো শহরের ব্যস্ত কোলাহলে,
আমি নির্জনতাকে ভালোবাসি
তাই নির্জনতায় বার বার ফিরে আসি
তোমার সুন্দর প্রতিচ্ছবি দেখবো বলে।
আমার সাদা-কালো জীবনটা আজ ছবির ফ্রেমে বন্দী,
তোমার ভালোবাসাও আমার সাথে করছে ডিজিটাল সন্ধি।
তোমার আনাগোনা শপিংমল নয়তো কফিশপে,
তাই আমি আসি নির্জনতায় তোমার সুন্দর প্রতিচ্ছবি দেখবো বলে।
কারণ নির্জনতায় আমি তোমার সুন্দর মুখখানা দেখতে পাই,
যা শহরের ব্যস্ত কোলাহলে কোথাও নাই।
রোদের গায়ে মেঘের পালক
রোদের গায়ে পড়েছে মেঘের পালক,
অচেনা খুনসুটিতে কাটছে তাদের সময়।
রোদটাও মাঝে মাঝে মায়াবন বিহারিণী হরিণীর মতো,
তাকে ধরা যায় না,
তখন ধরা যায় না যখন ভালোবাসা রাজ্যের সব বিষাদ
রোদের গায়ে এসে পড়ে।
আমি সেই মেঘের পালক তুমিও সেই রোদ,
তোমার গায়ে এসে পড়তেই কেমন সুন্দর থেকে সুন্দর হয়ে ওঠো।