বাংলাদেশের নারী পুলিশের সাহসী ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত: আইজিপি

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেছেন, নারী পুলিশের সাহসী ভূমিকা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে নারী পুলিশের বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পুলিশে ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ রয়েছেন। এটা শুধু সংখ্যাই নয়, এটা জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ।’

আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়নে নারীদের সমান অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই ১৯৭৪ সালে পুলিশে প্রথম ১৪ নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে নবযাত্রার সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় ১৯৯৯ সাল হতে পর্যায়ক্রমে পুলিশে নারীদের সদস্য বাড়ছে, যা বর্তমানে মোট পুলিশ সদস্যের শতকরা ৮ দশমিক ১৯ ভাগ।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে প্রথম মুন্সিগঞ্জ জেলায় একজন নারী পুলিশ সুপার পদায়ন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রাঙামাটি, চাঁদপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নারী পুলিশ সুপার পদায়িত হয়েছিলেন। বর্তমানে দুটি জেলায় (নড়াইল, গোপালগঞ্জ) নারী পুলিশ সুপার কর্মরত।’

পুলিশপ্রধান বলেন, কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নারী পর্যায়ের সব সদস্যদের ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং’ অনলাইন মডিউল কার্যকর হলে জেন্ডার বিষয়ে সচেতনতা আরও সুদৃঢ় হবে।

বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এছাড়া অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এএ/ডিএম)