কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি, হবেও না: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৬:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে না বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বলেন, ‘একটা ব্যাংকও দেউলিয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বুধবার দুপুরে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী গ্রুপ আয়োজিত এক আলোচনা সভার শেষে তিনি এসব বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং খাত নিয়ে এখন অনেক আলোচনাই হচ্ছে। কিছু কিছু বিষয় গণমাধ্যমেও আসছে। তবে দু-একটি ঘটনার কারণে গোটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে রায় দেওয়া উচিত নয়। এখানে আইন রয়েছে, অন্যায় হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের একটা ব্যাংকও দেউলিয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটা গুজব ছড়িয়েছিল যে ব্যাংকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। যেটা সম্পূর্ণ ভুল। একটা শ্রেণি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব গুজব ছড়ায়। আমি বহু লোককে জিজ্ঞেস করেছি, কেউ ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাননি এমন কাউকে পাইনি। এটা সঠিক নয়, কেউ কেউ রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে এমনটা প্রচার করছে।’

ব্যক্তি সম্পদের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সমাজে বৈষম্যও বাড়ছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামান্য হলেও উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে কেউ উপোস থাকে না। আগামীতে আমাদের আর্থিক অবস্থা আরও বাড়বে। কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি আরও ভালো হবে। ভবিষ্যতে আরও ভালো রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্কুল হবে। কেউ যদি পিছিয়ে থাকে তার জন্য ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ ভাতার বাইরে থাকবে না।’

সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনের বিষয় নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তখন সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনের বিষয় নিয়ে কাজ চলছিলো। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো, অঙ্কের মারপ্যাঁচে পড়ে সেটা পিছিয়ে গেল। যে কয়টি সরকারের সঙ্গে আপনারা কাজ করেছেন, মানবতার দিক থেকে একটু স্বাচ্ছন্দ্যভাবে থাকার সুযোগ আপনাদের ছিলো।’

অনুষ্ঠানে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীরা দাবি করেন, অবসরের ১৫ বছর পর পেনশন সুবিধা পাওয়ার যে সময় নির্ধারণ করা রয়েছে, তা যেন কমিয়ে ১০ বছর করা হয়। 

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দাবি করেছেন ১০ বছর। আমি মনে করি ৮ বছর হলে ভালো। ছয় বছর হলে আরও ভালো হয়। আমাদের সক্ষমতা ১৫-২০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এটা করা সম্ভব।’

তবে এই মুহূর্তে কিছুটা সমস্যার কারণে সেটি করা সম্ভব নয় জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাও অনুভব করতে পারেন এই মুহূর্তে সরকার একটু চাপে রয়েছে। তবে আগামী দুই থেকে চার মাসের মধ্যে এই চাপ কেটে যাবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ মো. আব্দুস শহীদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকার কর্মচারী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/কেআর/ডিএম)