আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন: বিশ্বের অর্ধেক দেশেই গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে, কর্তৃত্ববাদীর কাতারে বাংলাদেশ
প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৪৮ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১২
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে- এমন দেশের তালিকায় চীন, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে, যাতে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্ধেকেই গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ একে ত্বরান্বিত করছে।
বিশ্বে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ‘দ্য গ্লোবাল স্টেট অব ডেমোক্রেসি ২০২২’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিসট্যান্স (আইডিইএ)। এএফপি।
গত বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়, যাতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া ও কাজাখস্তানকে কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে। এখানে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়ার ক্ষেত্রে দেশগুলোতে যেসব আইন করা হয়েছে, সেই তালিকায় বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রয়েছে। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সাইবার হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষার কথা বলে এই আইনের আওতায় অনলাইন কনটেন্টকে নিশানা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের পর থেকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্তত ১৫টি দেশ বাক্স্বাধীনতা দমনে, বিশেষ করে অনলাইনে মতপ্রকাশ ঠেকাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
‘এ অঞ্চলে গণতন্ত্র সংকুচিত হচ্ছে, কর্তৃত্ববাদী শাসন সংহত হচ্ছে’ উল্লেখ করে বলা হয়, মাত্র ৫৪ শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশে আছে। আফগানিস্তান ও মিয়ানমার গণতন্ত্রের পতনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলেও ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের মতো দেশেও গণতন্ত্র ঝুঁকিতে আছে।
বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্ধেকেই গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকট যাকে ত্বরান্বিত করছে।
এতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি মাত্রায় খারাপ হয়েছে এমন দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তালিকায় অন্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, ভারত, মরিশাস ও পোল্যান্ড।
আইডিইএর মহাসচিব কেভিন কাসাল–জামোরা বলেছেন, মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র দুর্বল হতে দেখা যাচ্ছে। ‘এর অর্থ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
‘আইনের শাসন খর্ব হচ্ছে। নাগরিক সমাজের কথা বলার সুযোগ সীমিত হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যা দেখছি, তাতে আমি খুবই উদ্বিগ্ন।’
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এফএ)