অভিশংসনের হুমকির মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সম্ভাব্য অভিশংসনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

রামাফোসার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তার খামার থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার চুরি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

একটি স্বাধীন প্যানেল থেকে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রামাফোসা তার পদের অপব্যবহার করেছেন এবং একটি দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গ করেছেন।

তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন এগুলো মহিষ বিক্রির টাকা।

প্যানেল তদন্ত করে যা পেয়েছে সেগুলি পার্লামেন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা করে আগামী সপ্তাহে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

একটি কনফারেন্সের এক মাসেরও কম সময় বাকি আছে, যাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে রামাফোসা ২০২৪ সালে তার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা।

এএনসি বৃহস্পতিবার তার কার্যনির্বাহী দলের সাথে একটি বৈঠক করবে, যেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে আশা করা হচ্ছে।

ফার্মগেট কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয় জুনে, যখন একজন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান শীর্ষ গুপ্তচর আর্থার ফ্রেজার ২০২০ সালে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাষ্ট্রপতির ফালা ফালা ফার্ম থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার চুরি লুকানোর অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমার ঘনিষ্ঠ মিত্র ফ্রেজার অভিযোগ করেছেন যে অর্থটি অর্থপাচার এবং দুর্নীতির আয় হতে পারে এবং রাষ্ট্রপতি অপহরণ ও চোরদের ঘুষ দিয়েছেন।

এত বড় অঙ্কের টাকা ডলারে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করতে পারে।

রামাফোসা একটি ডাকাতির বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তবে বলেছেন যে চুরির পরিমাণ অভিযোগের চেয়ে কম ছিল। এটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা অস্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, মহিষের জন্য নগদ দেয়া প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার খামারবাড়ির সোফার কুশনের নিচে থেকে চুরি হয়েছে।

এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি প্যানেলের প্রতিবেদনে জমা দেয়া জবাবে লিখেছেন, আমি চুরদের অনুসন্ধান করিনি, যেভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এটি করার জন্য কোনো নির্দেশও দিইনি।

প্যানেল উপসংহারে পৌঁছেছে যে অনেকগুলো উত্তরহীন প্রশ্ন রয়েছে। এটিকে ‘খুব গুরুতর বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে প্যানেল।

যে লোকটিকে মহিষের জন্য অর্থ দেয়া হয়েছিল তার সম্পর্কে সামান্য তথ্য রয়েছে। তিনি আড়াই বছর পরেও পশু সংগ্রহ করেননি।

প্যানেল আরও বলেছে, এটি আশ্চর্যজনক যে টাকাটি একটি সোফায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা মনে করি যে চুরি করা বৈদেশিক মুদ্রার উৎস এবং সেইসাথে এর জন্য অন্তর্নিহিত লেনদেনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির উত্তর দেয়ার আছে। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রেন প্রধান হিসেবে তার অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/এফএ)