‘গ্রহণযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের উন্নতি ঘটাতে হবে’

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:২১ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৩৬

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বিসিএসআইআরের বিআরআইসিএম অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলন’২০২২। যা শনিবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে।

এতে বিশ্বের ১১টি দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অংশ গ্রহণ করেছেন।  

 

এ সময়ে বিসিএসআইআর-এর নির্ধারিত ১২টি ভেন্যুতে প্রতিদিন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ তাদের গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরবেন।

 

এসব গবেষণার তথ্য-উপাত্তের আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বির্নিমানে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় গবেষণা প্রনয়নে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষক বিশেষ করে বিসিএসআইআর এর বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে। যেসব দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ এই ৩ দিনের বিজ্ঞান সম্মেলনে তাদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ওমান ও ভারত। উল্লিখিত সম্মেলনের জন্য সর্বমোট ৮৪৮টি গবেষণার সারসংক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে সর্বমোট ৩৬০টি বিষয় ভিত্তিক প্রেজেনটেশন এবং ২০৩টি পোস্টার প্রেজেনটেশন সম্মেলনের ৩ দিনে বিভিন্ন ভেন্যুতে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব প্রেজেন্টেশন এবং পোস্টার প্রেজেনটেশন ছাড়াও ৬০টি কি-নোট পেপার ও ৬০টি ইনভাইটেড লেকচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে থিম লেকচার প্রদান করেন বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ।

 

একই সাথে প্ল্যানারি সেশনের বিশেষ ভাষণে ভারতের সিএসআইআর-এর সম্মানিত ডিজি ড. নাল্লা থামবি কালাই সেলভি (ঘধষষধ ঞযধসনু কধষধরংবষার)- চুতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ও অসুবিধার বিভিন্ন চালচিত্র তুলে ধরেন।

 

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন যে “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সোনার বাংলা তৈরিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন যে, ৩দিন ব্যাপি আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনে উপস্থাপিত সকল গবেষণার প্রতি বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে মনোযোগি হতে হবে”।

 

বিশেষ অতিথির ভাষনে অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, এমপি বলেন “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় এবং গ্রহণযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেই গবেষণার উৎকর্ষ সাধন করতে হবে অন্যথায় ভ‚ল প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের এমনকি সভ্যতার মারাতœক ক্ষতি হতে পারে”।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব জিয়াউল হাসান বিশেষ অতিথির ভাষণে উল্লেখ করেন যে, বিজ্ঞান গবেষণায় উন্নতমানের যন্ত্রপাতিসহ দেশের উন্নয়নে যেকোন পদক্ষেপ নিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন যে সরকার বিসিএসআইআর-এর আধুনিক যন্ত্রপাতি ও গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেছে। সময় এখন বিজ্ঞানী ও গবেষকদের। তাদের হাত ধরেই দেশের বিজ্ঞান গবেষণা সামনে এগিয়ে যাবে।

 

সভাপতির ভাষনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ সর্বকালের শ্রেষ্ঠবাঙ্গালী ও বাঙ্গালী জাতির রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং আগত বিদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন যে, “বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিতে হবে। শুধু তাই নয় নতুন নতুন প্রযুক্তির নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে ২০৪১ সাল নয়, মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস এমনকি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানের আলোকে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে”।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিসিএসআইআর-এর সদস্য ও পরিচালকগণ, সিনিয়র বিজ্ঞানী ও তরুণ বিজ্ঞানী এবং গবেষকগণ।

 

(ঢাকাটাইমস/১ডসিম্বের/এআর)