গাইবান্ধায় মাদক ট্রাজেডি: রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুদণ্ড

গাইবান্ধার আলোচিত মাদক ট্রাজেডির ঘটনায় করা মামলার রায়ে বিক্রেতা রবীন্দ্রনাথ সরকার ওরফে রবির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনসুর মিয়া আসামীর অনুউপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এ্যাডভোকোট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স ঢাকা টাইমসকে বলেন, ১৯৯৮ সালের পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের রাতে মদ্যপানে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া পরে বিভিন্ন হাসপাতালে ও গোপনে আরো অন্তত ৭০ জন মারা যান। তারা সবাই রবীন্দ্রনাথ সরকারের স্টেশন রোডস্থ ন্যাশনাল হোমিও হল থেকে রেকটি ফায়েট স্পীট কিনে নিয়ে সেবন করেন। 

অতিরিক্ত লাভের আশায় রবিন্দ্রনাথ সরকার দোকানে ও বাড়িতে মজুদ স্পীটে বিষাক্ত মিথানল মিশ্রিত রেকটি ফায়েট স্পীট বিক্রি করেন। এই বিষাক্ত স্পীট খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ্যদের গাইবান্ধা জেলারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অনেকের মৃত্যু হয়। অনেকেই অন্ধ হয়ে যান।

এ নিয়ে রবিদাস সম্প্রদায়ের সর্দ্দার মুন্নী বাঁশফোর বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ১৬ এপ্রিল গাইবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই রবীন্দ্রনাথ বাড়িতে স্ত্রী সন্তান রেখে পালিয়ে যান। পরে তদন্ত শেষে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন গাইবান্ধা সিআইডির পরিদর্শক আবেদ আলী। 

দীর্ঘদিন আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিন্দ্রনাথ সরকার ওরফে রবির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এসএম)