রাষ্ট্রধর্ম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাতিলের দাবি

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:২৭

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সংবিধান থেকে সাম্প্রদায়িক ধারাসমূহ ও রাষ্ট্রধর্ম বাতিল, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনার এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।

বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন।

প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘জেনারেল এরশাদের শাসনামলে সংবিধানে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থেকে ছোট ছোট কয়েকটি দলকে নিয়ে ১৯৮৮ সালে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চতুর্থ সংসদে অষ্টম সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়েছিল। জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ অষ্টম সংশোধনী বিলটি সংসদে তুলেছিলেন। বিলটি পাস হয়েছিল ২৫৪-০ ভোটে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বামপন্থী দলগুলো ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং এমনকি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিও ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ঐ সংশোধনীর বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছিল। বিশ্লেষকরা বলেছেন, সব দলের তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জেনারেল এরশাদ তখন সংবিধানে এই অষ্টম সংশোধনী এনেছিলেন।’

রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন তার বক্তব্যে বলেন, ‘একটা মানুষের ধর্ম হতে পারে, রাষ্ট্রের তো ধর্ম হতে পারে না। সেই অর্থে রাষ্ট্রধর্ম তো একটা অবাস্তব জিনিস। দ্বিতীয় একটা বিষয়, আমরা রাষ্ট্রধর্ম করে কি আরও বিশুদ্ধ মুসলমান হয়ে গেলাম? কিংবা আজকে যদি এটা (রাষ্ট্রধর্ম) বাতিল করে দেয়া হয়, তাহলে কি আমরা যেরকম মুসলমান আছি তার চেয়ে নিকৃষ্ট মুসলমান হয়ে যাবো? আমার মনে হয় এ আলোচনাগুলে হওয়া দরকার।’

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেস্বর/এসকে)