প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার ধরার উপায় এবং চিকিৎসা

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০৬

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

নারীদের মধ্যে দিন দিন বেড়েই চলছে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। বেশ কিছু সমীক্ষা অনুযায়ী, এই রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না বলে বাড়ছে মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যানসার কীভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝা সম্ভব এবং কোন পর্যায়ে কীভাবে এর চিকিৎসা করা হয়।

কীভাবে বোঝা সম্ভব?

প্রাথমিক পর্যায়ে লাম্পের আকার এক সেমি বা তার থেকে কম হয়। স্তন ফ্যাটি অঙ্গ হওয়ায় এই লাম্পটি প্রথমে বোঝা যায় না। তাই ৪০ বছর বয়সের পর প্রত্যেক মহিলার বছরে একবার করে ম্যামোগ্রাম টেস্ট করানো উচিত। নিয়মিত এই টেস্ট করালে প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব।

কোন পর্যায়ে কেমন চিকিৎসা?

প্রাথমিক পর্যায়

ক্যানসারের প্রথম পর্যায়ে সার্জারির মাধ্যমে লাম্পটি বের করা হয়। এতে সম্পূর্ণ স্তনের কোনো ক্ষতি ছাড়াই অস্ত্রপচার করা হয়। তবে বগলের দিকে ক্যানসার কোষ ছড়িয়ে পড়লে সেন্টিনেল নোড বায়োপ্সি করতে হয়। রোগীর আয়ু বাড়ানোর জন্য এটি জরুরি। এই বায়োপ্সির উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়, কোন থেরাপি রোগীর জন্য উপযুক্ত।

মূলত কেমো ও হরমোন, এই দুই ধরনের থেরাপি এই সময় চিকিৎসকরা করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রেস্ট কনজারভেটিভ থেরাপির মাধ্যমেই চিকিৎসা সফল হয়। বগল বা শরীরের পাশের দিকে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে অন্য থেরাপির আশ্রয় নিতে হয়‌।

গুরুতর পর্যায়

যেকোনো ক্যানসার চিকিৎসা তিনটি পর্যায়ে হয়। অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন। স্তন ক্যানসারে লাম্প গুরুতর আকার ধারণ করলে সম্পূর্ণ স্তন বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেন, এটিকে বাঁচিয়ে চিকিৎসা করার। কারণ স্তনের সঙ্গে মহিলাদের মানসিক ভারসাম্যও ভীষণভাবে জড়িত থাকে।

তবে গুরুতর অবস্থায় সম্পূর্ণ অঙ্গ বাদ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এর পাশাপাশি অন্য কোন কোন অঙ্গে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে তা দেখে সেইমতো রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি অনেক সময় অস্ত্রোপচারের আগে দেওয়া হয়।

এছাড়া প্রয়োজন মাফিক চিকিৎসকরা টার্গেটেড থেরাপিও ব্যবহার করেন। একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই করা হয় রোগীর আয়ু বৃদ্ধির জন্য। এই পর্যায়ে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা মুশকিল। তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এজে)