জিয়া পরিবারের হাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের রক্ত লেগে আছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ।

তিনি বলেছেন, 'জিয়ার পরিবারের হাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যদের রক্ত লেগে আছে। জিয়ার হাতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতার রক্ত। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে বঙ্গবন্ধুর সব পরিবারের রক্ত। তাদের সন্তান তারেক রহমানের হাতে আওয়ামী পরিবারের ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়।

শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপের শামসুল হক মিলনায়তনে ‘পাহাড়ে সম্প্রীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাধিতে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বলা হয় চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে। আসলে কার লাশ আছে? আসলে কি সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে? কেউ কি দেখেছে? একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলুক আমি দেখেছি। জিয়াউর রহমান ভেবে খালেদা সেখানে কাকে শ্রদ্ধা জানায়? অন্য কোন পুরুষ অথবা কিছুই নেই। ইট পাথরের ভেতরে কফিন রেখে দাফন করেছে। এটা আমি আমার সন্দেহের কথা বলছি। পৃথিবীর কেউ দেখল না মরদেহ? এবিষয়ে আমি সংসদে একটি প্রস্তাব তুলেছি, এখন পরীক্ষার সুযোগ আছে, এটা পরিষ্কার হওয়া উচিৎ। এজন্য বেগম জিয়ার সহায়তা লাগলে, সরকার সহায়তা করবে। কারণ, কাকে সেখানে তিনি পুষ্প দিচ্ছেন সেটা নিশ্চিত হবেন।'

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষদের সরল মনের আখ্যা দিয়ে কে এম খালিদ বলেন, 'পাহাড়ের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীরা সাধারণত সরল মনেরই হয়। তাদেরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সব অপরাধীদের জড়ো করে পাহাড়ে পুর্নবাসিত করেছেন জিয়াউর রহমান। তারা পাহাড়ের পরিবেশ অশান্ত করতে কাজ করেছে। পাহাড়ে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফাকে আশ্র‍য় ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জিয়া। এনিয়ে দীর্ঘদিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানপোড়ন চলেছে।'

জিয়া-এরশাদ শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে কে এম খালিদ বলেন, 'গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় সামরিক শক্তিগুলো পাহাড়কে অশান্ত করে তুলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে। তবে পাহাড়িদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলাটিমসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পাহাড়ে আশ্র‍য় নিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে।'

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এলএম/ইএস)