সালথায় ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:২৮

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধ

ফরিদপুরের সালথায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সদরের সালথা সরকারি কলেজ মাঠের পাশে সড়কে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলসহ নাশকতার কাজে ব্যবহৃরত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এরমধ্যে ৩টি বিস্ফোরিত ককটেল বোমার টিনের কৌটার অংশ, দেশীয় অস্ত্র, ১১টি কাতরা, ৪টি স্টিলের পাইপ, ৫টি লোহার রড, ১২টি বাঁশের লাঠি জব্দ করে পুলিশ।

বিস্ফোরণের ঘটনায় সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কাকিলাখোলা গ্রামের মো. মহিদ্দীন মাতুব্বরের ছেলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পদক মো. নাছির মাতুব্বর (৪৩), আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত তফছির উদ্দীনের ছেলে বিএনপি কর্মী আমিনুল  ইসলাম (৩৮) ও পাশের কিত্তা গ্রামের মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৪)।

স্থানীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সালথা কলেজ মাঠের পাশে হঠাৎ করে পরাপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়। তখন পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তারা দেখেনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুঁটে গেলে তাদেরকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে আমাদের দুই এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ শর্টগানের ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতমানা ৪০-৫০ জনের নামে বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে একটি হয়। 

তিনি বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্য জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এসএম)