কুমিল্লার সমাবেশে মোবাইল ফোন চুরির মতো বিএনপির ভোট চুরি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৪৩ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মোবাইলফোন চুরির মতো দলটি ভোট চুরি করে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিএনপির কুমিল্লার সমাবেশ থেকে ৭১টি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় ৭১টি মামলা হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপি। চুরি করল বিএনপি। এভাবেই তারা ভোট চুরি করে।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। শনিবার দুপুরে জেলা সার্কিট হাউস মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপি যেন কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের, ‘প্রতিপক্ষকে (বিএনপি) মোকাবিলায় রাজপথসহ পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় আমাদের কাজ করতে হবে।’

যারা দেশের মধ্যে লুটপাট করেছে তারাই আবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। আগামী নির্বাচনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। রাজপথ, জনপদ, শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সবখানেই সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত থাকতে হবে। হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে কি-না সময়ই বলে দেবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান গতকালও (শুক্রবার) ঢাকার এক ক্যাডারের সঙ্গে আলাপ করেছেন। আপনার শুনেছেন, লন্ডন থেকে বলেছেন, তোমরা রাস্তা ছাড়বা না, শেখ হাসিনা পালানোর পথ খুঁজছে। তার এমপি-মন্ত্রীরাও পালানোর পথ খুঁজছে।’

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কত ধানে কত চাল দেখা যাবে। অপেক্ষা করুন। কবে ১০ তারিখ, তার আগেই নয়াপল্টন এলাকায় তাবু খাটাচ্ছে। হাড়ি-পাতিল, বিছানা-বালিশ, মশার কয়েল সব নিয়ে আসছে সাতদিন আগে থেকে। কোথায় থেকে পেলেন এই টাকা?’

ওবায়দুল কাদের গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (কামাল হোসেন) তারেক রহমানের দণ্ডিত হওয়ার কথা বলেননি। কামাল হোসেন নিজে জামাতার মাধ্যমে অর্থ পাচার করেন।’

‘কামাল হোসেন নিজে ট্যাক্স ফাঁকির মামলায় পড়েছিলেন। আদালত থেকে খালাস নিয়ে ট্যাক্স জমা দিয়েছিলেন। অর্থ পাচার কারা করেছেন, সবার উৎস খোঁজা হচ্ছে। এদের শাস্তি পেতে হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার সভাপতিত্বে সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোহিত উর রহমান শান্ত।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসিম কুমার উকিল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/জেএ/ডিএম)