তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি অনুসন্ধান করতে তিন সংস্থাকে নির্দেশ
ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করতে তিনটি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের তালিকাও চেয়েছেন আদালত।
এই সংস্থা তিনটি হলো—বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আগামী চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দিতে এই তিন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রবিবার এই আদেশ দেন।
এছাড়া এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকাসহ অনিয়ম করে ঋণ নেওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকের ঋণ নিয়ে পত্রিকায় যে খবর এসেছে সেই বিষয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই করে তিন সংস্থাকে আগামী ৫ এপ্রিল প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে এস আলম গ্রুপকেও ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।’
ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনেছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালত তাকে রিট করার পরামর্শ দেন।
তবে শিশির মনির রিট না করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিএফআইইউ ও দুদককে চিঠি দেন। এছাড়া গভীরভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককেও তিনি চিঠি দেন।
(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/ডিএম)